প্রায় দেড়যুগ পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা আট হাতছানি দিয়ে ডাকছে বাংলাদেশকে। তবে বড় কোনো বাধা নেই শান্তদের সামনে। সহযোগী দেশ নেপালের বিপক্ষে জিতলেই সরাসরি দল চলে যাচ্ছে পরের রাউন্ডে। নেট রানরেটে বেশ এগিয়ে থাকায় হারলেও থাকছে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ। তবে তাকিয়ে থাকতে হবে নেদারল্যান্ডসের ম্যাচের দিকে। ডাচরা যদি লঙ্কানদেরকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেয় তাহলে চিন্তার ভাঁজ পড়বে কপালে।
ম্যাচের আগে স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের খবর অবশ্য চিন্তা অনেকটাই কমিয়ে দিচ্ছে। সন্ধ্যায় কিংসটাউনে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে ভেস্তে যেতে পারে ম্যাচ। তাতে এক পয়েন্ট পেলে অনায়াসে শান্তরা চলে যাবেন পরের রাউন্ডে। যদিও ম্যাচ খেলেই পয়েন্ট কুড়োতে চাইবে দল। তাতে সুপার এইটের প্রস্তুতিটাও হয়ে যাবে ভালোভাবেই।
আসরে এখন পর্যন্ত আশা জাগানিয়া পারফর্ম করেছে দল। বিশেষ করে বোলাররা। তাসকিন-মোস্তাফিজ-তানজিম সাকিবরা নিজেদের দায়িত্ব শতভাগ পালন করছেন। সারপ্রাইজ প্যাকেজ রিশাদের লেগস্পিনে ঘূর্ণি বেড়েছে। ম্যাচের মোমেন্টাম পাল্টে দিচ্ছেন তিনি। কিংসটাউনের স্পিন উইকেটের কথা বিবেচনা করে এ ম্যাচে তানভীর কিংবা শেখ মেহেদির কথাও বিবেচনা করতে পারে দল।
যদিও বড় পরিবর্তনটা দরকার ব্যাটিংয়ে। বিশেষ করে টপঅর্ডারে। ওয়ানডাউন থেকে ওপেনিংয়ে এসেও রানখরা কাটাতে পারছেন না অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। লিটন-তানজিদ তামিমদেরও একই দশা। তাওহীদ হৃদয় আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে চড়ে বিপর্যয় কাটাচ্ছে দল। সাকিব আল হাসানও ছন্দে ফিরেছেন আগের ম্যাচে। নেপালের বিপক্ষে অফফর্ম কাটিয়ে ওঠার সুযোগ শান্ত-লিটনদের সামনে।
সুপার এইটের কঠিন লড়াইয়ের আগে সবাই নিজেদের সেরা ছন্দে ফিরলেই স্বপ্নের পরিধি আরো বাড়বে। নিজেদের ফিরিয়ে আনতে নেপালের চেয়ে সহজ প্রতিপক্ষ আর কেই বা হতে পারে!