রাষ্ট্র চলবে জনগণের দেয়া রাজস্বে। আর তা আহরণ করা হবে আয়কর, পণ্যে ভ্যাট ও আমদানি-রপ্তানি থেকে শুল্ক নিয়ে। এ তিন মূল মন্ত্রের ভিত্তিতে আগামী এক করবর্ষ ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা আহরণ করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এ আয় আগামী অর্থবছরে সরকারের মোট ব্যয়ের ৬০ শতাংশ ও মোট রাজস্বের ৮৮ শতাংশ। এ অর্থের ৩৮ শতাংশ আসবে ভ্যাট থেকে, প্রায় ২৬.৮ শতাংশ কাস্টমস শুল্ক, সাড়ে ৩৬ শতাংশ আয়কর থেকে। অন্যান্য খাত থেকে দেড় শতাংশ।
বিগত অর্থবছরগুলো বলছে, বিশাল এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজ হবে না এনবিআরের। কারণ অভ্যন্তরীণ আয়কে শক্তিশালী করতে নানা পদক্ষেপের কথা বললেও বিদায়ী অর্থ বছরে মূল লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঘাটতি। পূরণ হয়নি আইএমএফের শর্তও।
তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভ্যাট বসছে বিভিন্ন পণ্যে, শুল্ক বাড়ছে আমদানি খাতে। ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ করহার ৫ শতাংশ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩০ শতাংশ। উৎসে করের আওতায় আনা হয়েছে হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট ও কমিউনিটি সেন্টারকে। শর্তসাপেক্ষে করহার কমিয়ে রিটার্ন দিতে উৎসাহিত করা হয়েছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কিছু কোম্পানিকেও। ৫ শতাংশ বেশি কর আরোপ হবে যেকোনো সমিতি, ট্রাস্ট, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুদ আয়ে।
এক ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানে উৎসাহ দিতে করহার শর্তসাপেক্ষে দুই শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। অপরদিকে পুঁজিবাজারে ক্যাপিট্যাল গেইন ট্যাক্স দেয়ার প্রস্তাব হয়েছে। আয়ের রূপরেখাতে দীর্ঘমেয়াদি করতে প্রথমবারের মতো প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬ দুই অর্থবছর।