বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী ভিসায় যাওয়ার সময় শেষ হয়েছে ৩১ মে। শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করেও যেতে পারেননি কয়েক হাজার ভিসাধারী।
১ জুন থেকে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশ থেকে শ্রমিক নেয়া বন্ধ করে মালয়েশিয়া সরকার। ফলে চূড়ান্ত ছাড়পত্র নিয়েও যেতে পারেননি ১৬ হাজার ৯৭০ কর্মী। এর মধ্যে একটি অংশ উড়োজাহাজের টিকিট সংগ্রহ করতে পারেনি। আরেকটি অংশ মালয়েশিয়া থেকে নিয়োগকর্তার চূড়ান্ত সম্মতি পায়নি বলে বিমানবন্দর থেকে তাদের গ্রহণ করার নিশ্চয়তা পাঠায়নি নিয়োগকর্তা।
এ ঘটনায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অবস্থান ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)। মঙ্গলবার (৪ জুন) রাজধানীতে আলোচনা সভা ও সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি।
মালয়েশিয়া যেতে না পারা শ্রমিকদের সংখ্যা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ১৭ হাজার বললেও বায়রার দাবি এই সংখ্যা ৫ থেকে ৬ হাজার।
সংগঠনটির নেতারা জানান, বাদ পড়াদের এখনো মালয়েশিয়া পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছে। যদি তা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে অভিবাসন প্রক্রিয়ায় খরচ করা সকল অর্থ ফেরত দেয়া হবে।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকরা বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের সমস্যা নিরসনে কাজ করা হচ্ছে। সঠিক তালিকা করলে কর্মীদের খরচের অর্থের হিসাব বেড়িয়ে আসবে।
এদিকে মালয়েশিয়ায় না যেতে পারা শ্রমিকদের কোন অভিযোগ থাকলে তা ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে জানানোর অনুরোধ করেছে প্রবাসী ক্যল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।