শেষ মুহূর্তে চলছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ। এখনও পর্যন্ত পরিকল্পনার ৯৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি আছে যন্ত্রপাতির ক্যালিব্রেশন ও ফাংশনাল কাজ।
চলতি বছরের এপ্রিলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে থার্ড টার্মিনাল বুঝে নেবার কথা থাকলেও কাজ শেষ না হওয়ায় ঝুলে গেছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া। তাতে চলতি বছরের শেষে অপারেশন আসা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
এমন অবস্থায় আজ (বৃহস্পতিবার, ৩০ মে) সকালে তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শনে আসেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খান। কাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় সিভিল অ্যাভিয়েশনকে কিছু পর্যবেক্ষণও দেন।
পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। জানান বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এই টার্মিনালটি রক্ষণাবেক্ষণ করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। যদিও জাপানে আস্থা রাখতে চান তিনি।
ফারুক খান বলেন, 'বিমানবন্দর শুধু সুন্দর হলেই হবে না। এর রক্ষণাবেক্ষণ আরও ভালো হতে হবে। শুধু ফ্লোর মেইন্টেন্যান্স না, উপরের দিকেও নজর রাখতে হবে। যেহেতু জাপানিরা এটা দেখাশোনা করবে। তারা এটা ভালোভাবেই রাখবে।'
এ সময় প্রশ্ন আসে থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে। মন্ত্রী জানান, জাপানি সংস্থার সাথে জয়েন্ট ভেঞ্চারে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং হবে। এর সাথে থাকবে বিমান।
তিনি বলেন, 'এরই মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বিমানবন্দরে জাপানের কোনো একটা গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলারের সাথে আমাদের জয়েন্ট ভেঞ্চার হবে। আশা করি, এর ফলে আমাদের লাগেজ হ্যান্ডেলিং আরও উন্নত হবে।'
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে সঠিক সময়ে টার্মিনাল বুঝে না পেলেও অক্টোবরেই অপারেশন শুরুর ব্যাপারে আশাবাদী বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান।
তিনি বলেন, 'আমাদের ইচ্ছা ছিল এই বছরই করার, কিন্তু তাদের রেসপন্স আমরা সেভাবে পাচ্ছি না। আশা করি আমরা অক্টোবরে রেডি হয়ে যাবো।'
এ সময় মন্ত্রী ঢাকা নিউইয়র্ক রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমোদন শিগগিরই পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গেল বছরের অক্টোবরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময়ে এই টার্মিনালের কাজ শেষ হয়েছিল ৯০ শতাংশ। তার ঠিক সাত মাসে এই টার্মিনালের কাজ এগিয়েছে আরও ৭ শতাংশ।