সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত ক্লাইমেট এন্ড হেলথ ফাইন্যান্স ডায়লগের 'কান্ট্রিড্রাইভেন ক্লাইমেট হেলথ একশনস এন্ড ফাইন্যান্সিং নিডস শীর্ষক ২ সেসনে' মঙ্গলবার রাতে ভাষণ প্রদানকালে এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো জলবায়ু অর্থায়নের অভাবে রয়েছে। উন্নত দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিলেও কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ করে না।'
পর্যাপ্ত অর্থায়ন ছাড়া জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা করা বাংলাদেশের জন্য কষ্টসাধ্য। এই অর্থবছরে, বাংলাদেশ সরকার অভিযোজনের জন্য ৩.৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে, যার মধ্যে স্বাস্থ্যও অন্তর্ভুক্ত। আমাদের বার্ষিক প্রয়োজন প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, 'আমরা একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারছি না কারণ প্রতিশ্রুতি এবং অঙ্গীকারগুলি সবসময় অপূর্ণ থাকছে। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনকে আরও খারাপ হতে দিতে পারি না।'
তাপপ্রবাহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করছে। জলবায়ু পরিবর্তন স্বাস্থ্য ছাড়াও পানিসম্পদ, পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং নারীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে বলে জানান তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করতে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আহ্বান জানান মন্ত্রী।
