স্বাস্থ্য
দেশে এখন
0

নানা সংকটে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ

জনবল সংকট, সেন্ট্রাল এসি ও জেনারেটর নষ্টসহ বেশ কিছু কারণে রোগী ভর্তি বন্ধ রয়েছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে। যাতে ৩০টি আইসিইউ বেড থাকার পরেও রোগীদের ছুটতে হচ্ছে জেলার বাইরে।

দীর্ঘদিন যাবত আইসিইউ সেবা চালু না থাকায় নোয়াখালীর ৪০ লাখ মানুষকে ছুটতে হতো রাজধানী ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামে। দূরের এই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অনেক সময় প্রিয়জন হারিয়েছে এই জনপদের মানুষ।

এই সংকট নিরসনে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ৩০ শয্যার আইসিইউ গড়ে তোলে স্বাস্থ্য বিভাগ। এরপর ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরলেও খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি।

উদ্বোধনের তিনমাস পর চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ শয্যায় রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। তবে এই ৫ শয্যায় নেই দক্ষ জনবল। চালু হয়নি এইচডিইউসহ বাকি ২৫ শয্যার কার্যক্রম। এমনকি হাসপাতালের চতুর্থ তলায় মূমুর্ষ রোগী উঠানামার জন্য নেই লিফটের ব্যবস্থা।

ব্যয়বহুল এ আইসিইউ ইউনিটটি চালু হওয়ার কয়েকদিন পরেই নষ্ট হয়ে যায় সেন্ট্রাল এসি। অধিকাংশ সময় নষ্ট থাকে জেনারেটর। এসি নষ্ট থাকায় মে মাসের ৯ তারিখ থেকে বন্ধ রয়েছে রোগী ভর্তি কার্যক্রম।

চালু না হওয়ায় খালি পড়ে আছে আইসিইউ বেডগুলো। ছবি: এখন টিভি

বন্ধ হবার আগ পর্যন্ত আইসিইউতে ৮২ জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে মারা গেছেন ৪০ জন।

আইসিইউ ইউনিটের সুপারভাইজার নাসির উদ্দিন বলেন, 'আমাদের এখানের এইচডিইউটা দীর্ঘদিন যাবত ধরে বন্ধ রয়েছে। জনবলের সংকট আছে। তাই সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারছি না।'

আইসিইউ ইউনিটের নার্সিং ইনচার্জ নুর নাহার খুশবু বলেন, 'ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখ থেকে এ পর্যন্ত ৮২ জন রোগী ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ রোগী টিকতে পেরেছে। যদি আমরা জনবল সংকট কাটিয়ে উঠতে পারি তাহলে সেবার মান অনেক বেড়ে যাবে।'

তবে নষ্ট হওয়া এসি ও লোকবল সংকটের বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হেলাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, '৩ জন ডাক্তার, ৩ জন নার্স ও ৪ জন স্টাফ আমাদেরকে দেয়া হয়েছে। আইসিইউ শুরু করার জন্য এটা খুবই অপ্রতুল। আগে আমাদের যন্ত্রপাতি কম ছিল কিন্তু এখন পর্যাপ্ত আছে। শুধু জনবল দরকার। এসি পুরোপুরি নষ্ট নয়, শুধু কুলিংটা কম হচ্ছে।'

আইসিইউ ইউনিটতে বর্তমানে ২ জন ডাক্তার, ৯ জন নার্স ও ৫ জন কর্মচারী রয়েছেন।