সেমিনার উপস্থিত রয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম. এ. এন. ছিদ্দিক, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা উওর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি।
বক্তব্যে মেট্রোর টিকিটের ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট আরোপের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ভ্যাট আরোপ যাত্রীদের ওপর হয়রানি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ১৫% ভ্যাট আরোপের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর তা সঠিক নয়। এটি হয়রানি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয়েছে।’
মেট্রোর টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানো হলে গতির ছন্দপতন হবে বলে মন্তব্য করেন ডিএমটিসিএল এমডি এম. এ. এন. ছিদ্দিক।
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসালে বর্তমানে যে গতি রয়েছে তাতে ছন্দপতন হবে। মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাটের বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।’
কাজের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে এম. এ. এন. ছিদ্দিক বলেন, 'এরই মধ্যে মেট্রোরেলের মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের কাজ ৩৪.৬ শতাংশ শেষ হয়েছে।’
এর আগে গত ৪ এপ্রিল ডিএমটিসিএলকে চিঠি দিয়ে মেট্রোরেলের ভাড়ায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত করার কথা জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআর জানায়, যাত্রীদের কথা চিন্তা করে ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেলের ভাড়ায় ভ্যাট অব্যাহতি দেয় এনবিআর। আগামী জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে এ সুবিধা।
পরদিন ৫ এপ্রিল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, মেট্রোরেলের ভাড়ায় ভ্যাট বসানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর বর্তমানে ভ্যাট মওকুফ রয়েছে, যার সময় শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ জুন। ডিএমটিসিএল অব্যাহতির মেয়াদ শেষে মূল্য সংযোজন কর আরোপ না করার জন্য এনবিআরকে অনুরোধ করেছিল।
তবে সংস্থাটি এই মওকুফ সুবিধা আর অব্যাহত রাখতে আগ্রহী নয়। কারণ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তে সব ধরনের কর ছাড় কমাতে নির্দেশনা দেয়া রয়েছে।