কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
দেশে এখন
0

মানিকগঞ্জে বাড়ছে পেঁয়াজের আবাদ

মানিকগঞ্জে দিন দিন বাড়ছে পেঁয়াজের আবাদ। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত পেঁয়াজের বড় একটি অংশ চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হচ্ছে কৃষক।

দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় মানিকগঞ্জে প্রতিবছরই বাড়ছে পেঁয়াজের আবাদ। গেল বছরের চেয়ে এ বছর ২৫৩ হেক্টর বেশি জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। চলতি বছর মুড়িকাটা পেঁয়াজের ভালো দাম পাওয়ায় হালি পেঁয়াজ চাষেও আগ্রহ বেড়েছে স্থানীয় কৃষকদের।

তবে এ বছর বীজ, সার, কীটনাশক ও জ্বালানি তেলের বাড়তি দামে বেড়েছে উৎপাদন খরচ। যে কারণে দেশিয় বাজারে পেঁয়াজের দাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা বাড়তি। এরপরও উৎপাদন খরচ উঠিয়ে লাভের মুখ দেখছেন তারা। চলমান এই বাজার ধরে রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবি কৃষকদের।

তারা বলেন, ৩০০ মণ পেঁয়াজ ৬ লাখ টাকা বিক্রি করা সম্ভব। এবার পেঁয়াজ ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘায় ৫০-৫৫ মণ করে ফসল হবে। এইবার প্রতি বিঘায় ১০-১২ হাজার টাকা খরচ বেশি হইছে। ফলন ভালো হইছে, যদি দাম থাকে তাইলে লাভবান হতে পারবো।

কৃষি বিভাগ বলছে, চাষের উপযোগী জমি ও আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় প্রতিবছর বাড়ছে পেঁয়াজের আবাদ ও উৎপাদন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি পেঁয়াজ চলে যায় দেশের বিভিন্ন বাজারে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. রবীআহ নুর আহমেদ বলেন, 'এ অঞ্চলের মাটি এবং আবহাওয়া পেঁয়াজ চাষের অনূকুলে আছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও কৃষকের আন্তরিক চর্চায় ফলন খুব ভালো হয়েছে। গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ বেশি হয়েছে।'

চলতি বছর জেলায় ৭ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৫শ' ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। যার বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় ৫৬৩ কোটি টাকা।