দেশে এখন
0

চলতি বছর ভোক্তা অধিদপ্তরে ৩০ হাজারের বেশি অভিযোগ

অনলাইন কিংবা বিভিন্ন শো-রুম থেকে পণ্য কিনে নানাভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ভোক্তারা। চলতি অর্থবছরেই ৩০ হাজারের বেশি প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে।

শুধু অনলাইনেই নয়, বিভিন্ন শো রুম, দোকান পাটেও প্রতারণার জাল পাতেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

যেমন দেশের তৈরি পণ্য হলেও পাকিস্তানি ব্র্যান্ডের নামে বিক্রি। এভাবে প্রতারিত হয়ে একজন ভোক্তা অভিযোগ করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে। রাজধানীর গুলশান পুলিশ প্লাজার তৃতীয় তলায় থাকা 'সানভিস বাই তনি' নামে কাপড়ের দোকানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। শুনানির জন্য নোটিশ পাঠালেও ভোক্তা অধিকারকে কোনো সাড়া দেয়নি ব্যবসায়ী।

সাড়া না দেয়ায় সোমবার (১৩ মে) দুপুরে পুলিশ প্লাজায় অভিযানে আসে ভোক্তা অধিকার। অভিযানে মিললো কেবল তৈরি পোশাক বিক্রির ট্রেড লাইসেন্স থাকলেও অবৈধ ভাবে বিক্রি হচ্ছে কসমেটিকসের পণ্যও। আবারও মঙ্গলবার শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে 'সানভিস বাই তনি' কর্তৃপক্ষকে। অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দোকানটি বন্ধ ঘোষণা করেছে ভোক্তা অধিকার। 

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মন্ডল বলেন, 'চলতি অর্থ বছরেই শুধু ঢাকার মধ্যেই ৩০ হাজারের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। যা একে একে নিষ্পত্তি করছে কর্তৃপক্ষ। ফেসবুক পেজ, লাইভে এসে মিথ্যা বিজ্ঞাপনে পণ্য বিক্রি বা সরাসরি বিক্রি যারাই করবে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আসতে হবে।'

তবে সাধারণ মানুষ ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করার সুযোগের বিষয়ে কতটা জানে?

সাধারণ ভোক্তাদের একজন বলেন, 'আমার তেমন কোনো আইডিয়া নেই। আমি সরাসরি মার্কেট থেকে কিনি তাই বলতে পারছি না।'

ভোক্তাদের কোনো পণ্য কেনার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের।

ইএ