জনবহুল শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকা সাভার। সড়কে মহাসড়কে যানবাহনের ছোটাছুটি। এই ব্যস্ত নগরীর দুই মহাসড়কে দাপিয়ে চলছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। কখনও স্বল্প ও দূরপাল্লার পরিবহনের সঙ্গেও পাল্লা দেয়ার চেষ্টা জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে।
সড়কে নিয়মিত চলাচল করা পরিবহন চালকরা বলছেন, দুর্ঘটনার বড় কারণ মহাসড়কে ৩ চাকার যান। এ অবস্থায় অবৈধ অটোরিকশা চলাচল বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি যাত্রীদের।
চালকরা বলেন, অটোরিকশা এক প্রকার অত্যাচার শুরু করছে। ওদের জন্য আমরা গাড়ি চালাইতে পারি না। তারা লোকাল রাস্তায় চলাচল করলে আমাদের সমস্যা হয় না। কিন্তু মহাসড়কে চললে খুব সমস্যা হয়। তারা গাড়ি চালানোর বিষয়ে নূন্যতম জ্ঞান রাখে না।
আশুলিয়ার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডের পুলিশ বক্সের সামনেই অটোরিকশার স্টোপেজ। যত্রতত্রভাবে চলছে যাত্রী ওঠানামা। অভিযোগ আছে, পুলিশকে নিয়মিত মাসোহারা দেয়ায় দিনকে দিন বেড়েই চলেছে অবৈধ অটোরিকশার দাপট।
অটোরিকশা চালকরা বলেন, পুলিশ আমাদের ধরে কিন্তু টাকা দিলে ছাইড়া দেয়। ধরলে ২৬০০ টাকা জরিমানা দিয়া গাড়ি ছাড়াইতে হয়। আশেপাশে চালাইলে আমাদের তেমন ইনকাম হয় না। তাই মহাসড়কে চালাই।
এদিকে মাসোহারার অভিযোগ অস্বীকার করেন ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পরিদর্শক খসরু পারভেজ।
তবে অবৈধ যান চলাচল বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান, ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লা হিল কাফী।
তিনি বলেন, 'মহাসড়কে অবৈধ অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ। আমরা তাদেরকে নিরুৎসাহিত করি। মাইকিং করে জানিয়েছি মহাসড়কে যেন এ ধরনের যান না আসে।'
মহাসড়কে ৩ চাকার এসব যান চলাচল বন্ধে পুলিশের সঙ্গে জনসচেতনতাও প্রয়োজন বলে মনে করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।