ফুটবল
এখন মাঠে
0

সব ম্যাচ ফ্লাডলাইটের আলোয় গড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাফুফে সভাপতি

একজন ফুটবলার গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য নেই অ্যাম্বুলেন্স। মাঠে দর্শক টানতে চোখে পড়েনি বাফুফের কোনো উদ্যোগ। এমন অব্যবস্থাপনা নিয়েই শুরু হয়েছে নারী ফুটবল লিগ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) তীব্র গরমের মধ্যেই শুরু হলো নারী ফুটবল লিগের ষষ্ঠ আসর। মাঠে এসে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় চটজলদি শেষ করা হয় সেই আনুষ্ঠানিকতা।

শুক্রবার বাফুফের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল আর্থিক সঙ্কট থাকায় তাপ প্রবাহের মধ্যে দিনের বেলাতেই মাঠে গড়াবে লিগ। তবে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে ফেডারেশন। বাফুফে সভাপতি জানালেন, রোববার থেকে ম্যাচ হবে ফ্লাড লাইটের আলোয়। দিনের প্রথম ম্যাচ শুরু হবে বিকেল পাঁচটায়, আরেকটি মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা ৭ টায়।

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন বলেন, 'উদ্বোধনের সময় যখন মাঠে আসলাম আবহাওয়া যে অবস্থা তাতে দিনের বেলা মাঠে এই ফুটবল খেলা সম্ভব না। পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো ফ্লাড লাইটের আলোয় খেলা হবে।'

নারীদের জাতীয় দলের ম্যাচ হলে মাঠে প্রচুর দর্শক সমাগম দেখা যায়। লিগেও খেলছেন জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। তবে ফ্রি টিকিট হলেও প্রথমদিনে তেমন দর্শক দেখা যায়নি। যদিও দর্শক টানতে বাফুফের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

ফুটবল ম্যাচে প্রায়ই খেলোয়াড়রা চোটে পড়েন। আবার স্বল্প সময়ের মধ্যে সেরেও উঠেন। নারী লিগের প্রথম ম্যাচেও কোনো ফুটবলার গুরুতর আহত হননি। যদি হতেন তাহলে বিপাকে পড়তে হতো টিম ম্যানেজমেন্টকে। কারণ আয়োজকদের তরফ থেকে রাখা হয়নি কোনো অ্যাম্বুলেন্স। স্টেডিয়ামের আশপাশে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ স্পোর্টিংয়ের ম্যানেজার সেলিনা আক্তার বলেন, 'সরকারিভাবে যেহেতু হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে সেই জায়গা থেকে আমাদের ফেডারেশন সাহস করে টিম পরিচালনা করছে। আরেকটু ভালো ম্যানেজমেন্ট হলে ভালো হতো। অ্যাম্বুলেন্সের একটা ব্যবস্থা করলে ভালো হতো তবে আমাদের ক্লাবের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা আছে।'

নারী লিগে দিনের একমাত্র ম্যাচে আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ স্পোর্টিং ক্লাবকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

ইএ