আজ (মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল) দুপুরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এই মুহূর্তে একীভূতকরণের পাঁচটি প্রস্তাব করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে। এই পাঁচ প্রস্তাবের ফলাফল পর্যালোচনায় পরবর্তী একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেবে উচ্চ আদালত।
মেজবাউল হক বলেন, ‘ব্যাংক একীভূতকরণের চূড়ান্ত ঘোষণা দেবে আদালত। দীর্ঘ মূল্যায়ন শেষে আদালত দুর্বল ব্যাংককে অবসায়িত (বন্ধ) ঘোষণা করবে।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতি অবলম্বন ও মূল্যায়ন শেষে চূড়ান্ত একীভূতকরণ হবে। তবে মধ্যস্থতা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, পাঁচটি প্রস্তাবে শুধু পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক থেকে আনুষ্ঠানিক আবেদন পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক একীভূতকরণের লক্ষ্যে অডিট ফার্ম রহমান রহমান হককে মূল্যায়ন কার্যক্রমের জন্য নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাকি ৪টি প্রস্তাবের আনুষ্ঠানিক আবেদন প্রক্রিয়া চলমান। এরপরই অডিট ফার্ম নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘পাঁচটি প্রস্তাবের আওতাধীন (১০টি) ব্যাংক একীভূত করার পরে প্রয়োজন হলে নতুন মার্জারে যাওয়া হবে। এগুলোর প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে কোনো ব্যাংক মার্জার করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ব্যাংক সংস্কারের পদক্ষেপ হিসেবে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর মধ্যে গত ১৮ মার্চ এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক প্রথমবারের মতো একীভূত হওয়ার চুক্তি সই হয়।
এরপর কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) এবং বেসরকারি একটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংক এবং অপর একটির সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়ার কথা শোনা গেছে।