সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৮ এপ্রিল ২০ হাজার ৮৫১ টি, ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৭০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি ও ১৪ এপ্রিল ১১ হাজার ৬২৫টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে।
এ প্রান্ত দিয়ে এ সাতদিনে টোল আদায় হয়েছে ১১ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫০ টাকা।
জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাতদিনে যথাক্রমে ১০ হাজার ৯৪৯টি, ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৫ হাজার ৫৯৬টি ও ২৩ হাজার ৩০১টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ১০ কোটি ২০ লাখ ৯৪ হাজার ৬০০ টাকা। এবার ঈদের আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড হয়।
সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, পদ্মা সেতুর দুই প্রান্ত দিয়ে সাতদিনে যথাক্রমে ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা (৮ এপ্রিল), ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার (৯ এপ্রিল), ২ কোটি ৭৬ লাখ ৭৩ হাজার ১৫০ (১০ এপ্রিল) , ১ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার ৩০০ (১১ এপ্রিল), ২ কোটি ৬৩ লাখ ৫৭ হাজার ৪০০ (১২ এপ্রিল), ২ কোটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার ৭০০ (১৩ এপ্রিল) এবং ৩ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা (১৪ এপ্রিল) টোল আদায় হয়েছে।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, 'পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এক মিনিটের জন্য সেতুতে যান পারাপার বন্ধ হয়নি। নির্বিঘ্নে পদ্মাসেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাতায়াত করতে পারছে।'