কমলাপুর রেল স্টেশনে আজ সকাল থেকে তেমন ভিড় না থাকলেও সন্ধ্যায় বাড়তে দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি যাত্রী চোখে পড়ে পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেসে। ঠিক ঈদের আগের রাতে কেন বাড়ি ফেরা?
এক যাত্রী বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারাটা আনন্দের। তাই আজ বাড়ি যাচ্ছি।
১০ এপ্রিলের অগ্রিম টিকেট দেয়া হয়নি। ৩০টি রোজা পূর্ণ হওয়ায় এ দিনের টিকেট দেয়া হয় আগের দিন রাত ৯টা থেকে। রেলওয়ে বলছে, ৭০-৭৫ শতাংশ আসন বিক্রি হচ্ছে। কিছু আসন ফাঁকা রেখেই যেতে হচ্ছে ট্রেনগুলোকে।
ঈদের ছুটির মধ্যে পড়ে যাওয়ায় এদিন ৫৬ জোড়া নিয়মিত আন্তঃনগর, লোকাল ও কমিউটার ট্রেনের সঙ্গে একটি স্পেশাল ট্রেন চলেছে। সব ট্রেনই প্রায় যথাসময়ে ছেড়ে যায়।
এদিকে শেষপর্যায়ে লঞ্চে রাজধানী ছাড়তে সকাল থেকেই যাত্রীরা ভিড় করেন সদরঘাটে। তবে গত দু'দিনের তুলনায় বুধবার যাত্রী ছিলো একেবারেই কম। যাত্রীরা বলছেন, স্বাচ্ছন্দ্যে যাত্রা করতেই লঞ্চকে বেছে নিয়েছেন তারা।
যাত্রীরা বলেন, ঈদের সময়টাতে অনেক বেশি যানজট থাকে আর টিকিট পাওয়া নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। লঞ্চে এ বিষয়গুলো খুব কম। শেষ পর্যন্ত পরিবার নিয়ে যেতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দাবি, এবার ঈদে যাত্রী বাড়লেও বিগতদিনের লোকসান কাটানো যায়নি।
এদিকে অন্যান্য বারের চেয়ে এবার সড়কপথে নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা করেছেন যাত্রীরা। কাউন্টারে দাম বেশি নিলেও টিকিট পাওয়া যাচ্ছিলো সহজেই। দিনে কিছুটা যাত্রীচাপ থাকলেও সন্ধ্যা থেকেই তা কমে আসে। রাতে মহাসড়কগুলোতে কোথাও কোনো যানজট ছিলো না।