দেশে এখন
0

ঈদ উপলক্ষে প্রসাধনী সামগ্রীর বিক্রি বেড়েছে

ঈদকে ঘিরে চট্টগ্রামে প্রসাধনী সামগ্রীর বেচাকেনা বেড়েছে। বিদেশি প্রসাধনীর নামে নকলের ছড়াছড়ি থাকায় কদর বেড়েছে দেশিয় প্রসাধনীর। গুণগত মান ও সুলভ মূল্যের কারণে নারীরা ঝুঁকছেন দেশি প্রসাধনীর দিকে। ঈদ উপলক্ষে ফেইসওয়াশ থেকে শুরু করে নেইলপলিশ, লিপস্টিক, মেহেদিসহ প্রসাধনীর পুরো বাজার এখন তুঙ্গে।

প্রসাধনী নারীর সৌন্দর্য্যকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই ঈদে নতুন পোশাকের সঙ্গে নিজেকে সাজাতে প্রসাধনীর দোকানে ভিড় করছেন সব বয়সী নারীরা। একসময় প্রসাধনীর বাজার বিদেশি পণ্যের দখল থাকলেও সময়ের সঙ্গে পাল্টেছে চিত্র। ক্রমশ ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করছে দেশিয় প্রসাধনী।

এক ক্রেতা বলেন, ‘ঈদের সময় মেহেদি না দিলে তো আর ঈদ হয় না। বাচ্চারাও মেহেদি পছন্দ করে। নিজেকে সুন্দর করে বের হতে হবে, তাই কিছু জিনিস কিনলাম।’

ঈদকে ঘিরে দূর-দূরান্ত থেকে খুচরা বিক্রেতারা চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে ভিড় করছেন। প্রসাধনীর পাইকারি বাজারে ঈদকে ঘিরে এরইমধ্যে বেচাবিক্রি বেড়েছে। সব দিক বিবেচনায় বর্তমানে অনেক ক্রেতার প্রথম পছন্দ দেশি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী।

বিক্রেতারা বলেন, আমাদের দেশি পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি। আবার বাইরের পণ্যগুলোর দামও বেশি।

মমতাজ হারবাল প্রোডাক্টের পরিবেশক নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘গুণগত মান ভালো এবং দামে কম হওয়ায় আমরা বেশ ভালো বিক্রি করছি।’

বছরজুড়ে নানা উৎসবে নারী সাজের অন্যতম অনুষঙ্গ মেহেদি। মেহেদী ছাড়া ঈদের আনন্দ যেন পূর্ণতা পায় না। তাই সব উৎসবকে ছাপিয়ে ঈদে চাহিদা বাড়ে কয়েক গুণ। প্রাকৃতিক রং ও কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না থাকায় ক্রেতাদের মন জয় করেছে মমতাজ মেহেদি। দামে তুলনামূলক কম এবং মানে ভালো হওয়ায় মমতাজ মেহেদির ব্যবহারও বেড়েছে।

বাজারে কেমিক্যালমুক্ত অর্গানিক মেহেদির চাহিদাই বেশি।