ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার ওপর নানা ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমা বিশ্ব। ব্যবসা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে রুশ সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও এসব নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়।
এর প্রেক্ষিতে একাধিক বিদেশি কোম্পানি রাশিয়ার লাভজনক বাজার থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়। এমন সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোটি কোটি ডলার লোকসান গুনতে হয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতি ১০ হাজার ৭শ' কোটি ডলার। গত বছরের আগস্টের পর থেকে মোট লোকসান বেড়েছে এক-তৃতীয়াংশ।
এ বিষয়ে ব্যবসায়িক ঝুঁকিসংক্রান্ত পরামর্শক সংস্থা এস-আরএমের হেড অব করপোরেট ইন্টেলিজেন্স ইয়ান ম্যাসি বলেন, ‘যেসব কোম্পানি এখনো রাশিয়ার বাজার ছাড়তে চায়, তারাও সম্ভবত ভবিষ্যতে আরো সমস্যার সম্মুখীন হবে। কারণ ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ অব্যাহত। এছাড়া পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। এজন্য আগামীতে কোম্পানিগুলোকে আরো লোকসান সহ্য করতে হবে।’
রাশিয়া ফোর্টাম, কার্লসবার্গ, ওএমভি ও ইউনিপারের মতো পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর মালিকানাধীন সম্পদের অস্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ হিসাব করে জানায়, মস্কো পাল্টা ব্যবস্থা নিলে পশ্চিমারা অন্তত ২৮ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের সম্পদ ও বিনিয়োগ হারাতে পারে।
তবে রাশিয়ার কঠোর অবস্থান তার নিজের অর্থনীতির জন্য ক্ষতির কারণ হয়েছে। অনেক বহুজাতিক কোম্পানি পুরোপুরিভাবে রাশিয়ার বাজার ছেড়ে চলে গেছে। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরেও তারা আর ফিরে নাও আসতে পারে। যার কারণে রাশিয়া ভবিষ্যতে উচ্চ প্রযুক্তির উৎপাদন তৈরিতে বাধার সম্মুখীন হতে পারে।
অবশ্য মন্ডেলেজ, পেপসিকো, ইউনিলিভার, রেকিট ও নেসলের মতো কিছু ভোগ্যপণ্য উৎপাদকরা এখনো রাশিয়ায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।