এক সাগর রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন বাংলার এক নতুন সকাল। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে এসে নব উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার দিন।
যাদের আত্মত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে পাওয়া মা-মাটি আর মাতৃভূমি, জাতির সেই সূর্য সন্তানদের স্মরণ করতে সর্বস্তরের মানুষের ভিড় জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সবার কণ্ঠে শহীদদের চেতনাকে সমুন্নত রাখার প্রত্যয়।
বয়োজ্যেষ্ঠ একজন বলেন, 'নতুন প্রজন্মে যারা আসবে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালাবে।'
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেয়া সাধারণ মানুষের জন্য। বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের।
শ্রদ্ধা জানাতে আসা একজন বলেন, 'স্বাধীনতার এই ৫৩ বছরে অর্জন অনেক হয়েছে। যদিও আমাদের আরও আকাঙ্ক্ষা ছিল। তবুও আমরা দেখতে পাচ্ছি সারাদেশ অনেক উন্নত হচ্ছে।'
বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে মানুষের আনাগোনা। হাতে ফুলের ডালা নিয়ে দৃপ্ত শপথে বলীয়ান সব মানুষের মিছিল যেন মিশে যায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। শহিদদের আত্মত্যাগের গল্পগাঁথাকে সঙ্গী করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় তাদের।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'বাঙালি চেতনার চর্চা করা হয়। আমাদের যে বাহাত্তরের সংবিধান ছিল, ধর্ম নিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়।'
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্মের হাত ধরে আগামীর বাংলাদেশ শিক্ষা, অর্থনীতি আর সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে হবে আরও সমৃদ্ধ। এমন চাওয়া শিক্ষক, গবেষকদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাকসুদ কামাল বলেন, 'তরুণ প্রজন্মদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা এবং তাদের প্রকৃতার্থে মানবসম্পদে পরিণত করাই হলো আমাদের এ স্বাধীনতা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হওয়া উচিত।'
গৌরবোজ্জ্বল ২৬ মার্চ প্রতিবছর নিয়ে আসে আত্মত্যাগ, আত্ম পরিচয় আর ঐক্যের বার্তা। স্মরণ করিয়ে দেয় নবউদ্যোমে এগিয়ে যাওয়ার। তাই শুধু স্মৃতিচারণে সীমাবদ্ধ নয় বরং জাতীয় জীবনে স্বাধীনতাকে অর্থবহ ও তাৎপর্যময় করে তোলার পাশাপাশি দেশের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় সবার কণ্ঠে।