কোনো আসর কিংবা টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই খেলোয়াড়দের জার্সি কেমন হবে তা নিয়ে চলে ব্যাপক আলোচনা। দৃষ্টিনন্দন হলে যেমন মেলে শুভকামনা, খারাপ হলেও দর্শকদের সমালোচনার মুখে পড়েন জার্সি ডিজাইনকারীরা।
এবার প্যারিস অলিম্পিক গেমসে প্রশংসা কুড়িয়েছে জার্সি ডিজাইনকারী প্রতিষ্ঠান। আসরে অংশগ্রহণ করা কোনো দেশের নয়, বরং গেমসের ৪৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের জার্সি ডিজাইন করেছে 'ডেকাথলন' নামের একটি ফরাসি ক্রীড়া সামগ্রী প্রতিষ্ঠান। ফরাসি নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের সোয়েটারের ডিজাইন অনুসরণ করা হয়েছে জার্সিতে।
ডেকাথলনের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ফরিপ ড্যাগুলন বলেন, 'ফরাসি শৈলীকে ফুটিয়ে তোলা যায় আবার খেলাধুলার সাথেও ভালো মানায় এমন ডিজাইন করার পরিকল্পনা ছিল। যা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।'
সাধারণত জার্সিতে দেখা যায় ভার্জিন পলিয়েস্টার। তবে ফ্রান্সের এই প্রতিষ্ঠান ফিরোজা রংকে প্রাধান্য দেয়া জার্সি তৈরিতে কাজে লাগিয়েছে পুনঃব্যবহৃত পলিয়েস্টার। যা পরিবেশ বান্ধব।
ফরিপ ড্যাগুলন আরও বলেন, 'অনেক ভিড়ের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবকদের থাকতে হবে। একইসাথে সজীবতার বিষয়টি মাথায় রেখে ফিরোজা রংকে নির্বাচন করেছি। ভার্জিন পলিয়েস্টোর পরিবর্তে আমরা পুনঃব্যবহৃত পলিয়েস্টার ব্যবহৃত হয়েছে। যা তীব্র গরমের মধ্যে আবহাওয়াকে সহনীয় করতে সহায়তা করবে।'
একজন স্বেচ্ছাসেবক বলেন, 'জার্সিটি চমৎকার, সত্যিই সুন্দর। এমন হালকা রঙিন, সর্বোপরি আরামদায়ক। তাই আমি খুব খুশি এবং ডেকাথলন প্রতিষ্ঠানটি স্বেচ্ছাসেবকদের ইউনিফর্মে এত ভালোভাবে বানাতে পারায় তার জন্য গর্বিত।'
এমন একটা জার্সি যা পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে মানুষ। খেলাধুলার সাথেও সাদৃশ্য থাকবে। ঠিক তেমনই হয়েছে এবারের জার্সি। আয়োজন ছাড়াও যেকোনো সময় আমি এই পোশাকটি ব্যবহার করতে পারব।
মে মাসের শেষের দিকে জার্সির সঙ্গে, প্যান্ট মোজাসহ, মোট ১৫ ধরনের সামগ্রী হস্তান্তর করা হবে স্বেচ্ছাসেবকদের। এর আগে মাত্র আঠারো হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেছিল বেলজিয়াম অলিম্পিক গেমসে।