পুনরায় বিমানের সেবা চালু হওয়ার খবরে খুশি ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তবে আন্তর্জাতিক মানের যাত্রী সেবা চান তারা।
এক বাংলাদেশি বলেন, ‘সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমরা যেন আসন ও যাত্রীসেবা পাই। আর সাশ্রয়ী মূল্যে টিকিট বিক্রি করতে হবে।’
বাংলাদেশ ও ইউরোপের মধ্যে বিমানের এই ফ্লাইটটি যোগাযোগ ও অর্থনীতিসহ নানা খাতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে বলে আশা ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর।
পপুলার ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সাজু বলেন, রোম-ঢাকা রুট শুধু যে বাংলাদেশিদের জন্য ইতিবাচক তাই নয়, এটি ইউরোপের সঙ্গে বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি তৈরি করবে। আর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য এটি অনেক বড় একটি মাইলফলক।’
ফ্লাইটটিকে এই রুটে লাভবান করতে আন্তর্জাতিক মানের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে বলে জানান বিমান কর্মকর্তা। বিমান বাংলাদেশের (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) ডিরেক্টর মোহাম্মেদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘যাত্রী সেবা উন্নত না করতে পারলে আমরা ব্যবসায় টিকতে পারবো না। আমরা ন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, আমাদের কমিটমেন্ট আছে। আমরা যাত্রীদের জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবো।’
প্রথম ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে রাত ২টায় ছেড়ে যাবে, রোমে পৌঁছাবে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায়। একইদিন রোম থেকে আরেকটি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে।
১৯৮১ সালের ২ এপ্রিল ইতালির রোমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইট চালু হয়। নানান কারণে ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল তা বন্ধ হয়ে যায়।