কৃষি

ডাম্পিং গ্রাউন্ডের পরিবর্তে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে কৃষি জমিতে

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশেই মানিকগঞ্জ পৌরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড। তবে বাসাবাড়ির বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে তা ফেলা হচ্ছে কৃষি জমিতে। এতে চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের আশপাশের প্রায় শত বিঘা কৃষি জমি। এতে করে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

মানিকগঞ্জ শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের ভাটবাউর গ্রাম। ২০১২ সালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশেই দুই একরের বেশি জায়গার ওপর নির্মাণ করা হয় পৌরসভার এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড।

নির্মাণের কয়েক বছর পর থেকেই পৌর এলাকার বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে পাশের কৃষি জমিতে ফেলা হচ্ছে। এসব বর্জ্য এখন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় কৃষকদের জন্য। আশপাশের প্রায় শত বিঘা জমিতে পড়েছে এর প্রভাব। জমি থেকে বর্জ্য অপসারণ করে তা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

স্থানীয়রা বলেন, 'এগুলো পরিষ্কার করতে গিয়েও আমরা লেবার পাচ্ছি না। এজন্য সময় মতো জমি বোনা সম্ভব হচ্ছে না। বর্ষাকাল আসলে পলিথিন, সিরিঞ্জ প্রায় জমিতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে পার্শ্ববর্তী জমিতেও চাষাবাদ করতে সমস্যা হয়। এটা না থাকলে আমরা অনেক লাভবান হতাম।'

কৃষিজমিতে ফেলা ক্লিনিক্যাল বর্জ্য থেকে ছড়াতে পারে ক্ষতিকারক জীবাণু। ছবি: এখন টিভি

বাসাবাড়ি কিংবা ক্লিনিক্যাল বর্জ্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না করা হলে বায়ু, মাটি, পানি দূষণসহ নানারকমের রোগ বৃদ্ধির শঙ্কা করছেন জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার কাজী এ.কে.এম রাসেল। তিনি বলেন, 'ক্লিনিক্যাল বর্জ্যগুলোর সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা না হলে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস, এইচআইভিসহ কিছু রোগ বৃদ্ধি পাবে। সেক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক হওয়া জরুরি।'

ডাম্পিং গ্রাউন্ডের বাইরে যেন বর্জ্য ফেলা না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানালেন পৌর মেয়র মো. রমজান আলী। তিনি বলেন, 'আমি ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানে যাবো এবং সেই ময়লা আমরা অপসারণ করবো।'

গত বছরের ৩১ আগস্ট জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। শিগগিরই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের চারপাশে উঁচু প্রাচীর তৈরি করে বাইরের বর্জ্য সেখানে স্থানান্তরের দাবি এলাকাবাসীর।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর