দুই ওয়ানডেতে জয় পেয়েছে দুই দল। ক্রিকেটারদের কীর্তি তো আছেই, তবে বড় ভূমিকা রেখেছে কন্ডিশনও। বিশেষ করে রাতের কুয়াশায় বল গ্রিপ করাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল বোলিং টিমের জন্য। ফলে টসটাও ছিল মহা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।
তবে অলিখিত ফাইনালে পরিণত হওয়া শেষ ম্যাচটাতে এসব থাকছে না। কারণ এবার সকালের রোদে খেলতে নামছে দুই দল। সূর্য ডোবার আগেই শেষ হবে ম্যাচ, নির্ধারণ হবে ট্রফির মালিকানা। সেখানে স্বাগতিক হওয়ার ফায়দা কাজে লাগাতে চায় টিম বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ বলেন, 'আমরা তো জানি আমাদের কন্ডিশন সম্পর্কে। যেহেতু ডে ম্যাচ আমাদের জন্য একটা অ্যাডভান্টেজ থাকবে। কারণ রাতের খেলা ডিপেন্ড করে টসের উপরে। যারা টস জিতে তাদের অ্যাডভান্টেজ বেশি থাকে। অবশ্যই কালকের ম্যাচ ভালো খেলার চেষ্টা করবো। সবাই হয়তো রেজাল্ট খুঁজি। আমরা জিততে পারছি না। একটা জিনিস দেখেন আমরা যখন বড় কোনো টুর্নামেন্ট যায় তখন কিন্তু আমাদের দুই উইকেটে খেলা হয়।'
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে দেখা যাবে বেশকিছু পরিবর্তন। বাজে ফর্মের কারণে এরই মধ্যে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন লিটন দাস। তার পরিবর্তে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ইনিংস সূচনা করতে পারেন তানজিদ তামিম। মিডল অর্ডারে হৃদয়-মুশি-রিয়াদরা ফর্মে থাকায়, দলে ডাক পেলেও একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কম জাকের আলী অনিকের।
তবে সুযোগ মিলতে পারে লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনের। দুই ম্যাচেই বল হাতে খুব একটা সুবিধা করতে না পারা তাইজুলকে বাদ দেয়া হতে পারে এ ম্যাচে। ইনজুরির কারণে দল থেকে ছিটকে পড়া পেসার তানজিম সাকিবের পরিবর্তে আবারো একাদশে ফিরছেন মুস্তাফিজ।
মিরাজ বলেন, 'আপনি এক দুইজনের উপর দোষ চাপাতে পারবেন না। আমরা যখন খেলি সবাই একসঙ্গে পারফর্ম করি। আমরা যখন দুই তিনজন না করি তখন হেরে যায়। আমি মনে করি যে এখানে সবার রেস্পন্সিবিলিটি রয়েছে।'
ইনজুরি আছে শ্রীলঙ্কা শিবিরেও। ইনফর্ম পেসার দিলশান মধুশঙ্ক চোট পেয়েছেন হ্যামস্ট্রিংয়ে। ফলে শেষ ম্যাচে খেলা হচ্ছে না তার। তারপরও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নেয়া লঙ্কানরা চাইবে ওয়ানডে সিরিজটাও দখলে নিতে।