বাজার
দেশে এখন
0

পাইকারিতেও নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে না

বাজারে পণ্যের সরবরাহ শৃঙ্খলে খুচরা ব্যবসায়ীদের আগের ধাপ পাইকারি দোকান। সেখানে পণ্য বেচাবিক্রি নিয়মমাফিক হয়।

রাজধানীর অন্যতম পাইকারি বাজার মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, আগারগাঁও এলাকার ব্যবসায়ীরা আলু, পেঁয়াজ, ডাল, মরিচের মতো পণ্য কিনছেন। তবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেঁধে দেওয়া নতুন দামে নয়, আগের দামেই কিনতে হচ্ছে।

কৃষি পণ্যের মধ্যে আলু পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৩১ থেকে ৩২ টাকায়, অথচ নির্ধারিত দাম ২৩ টাকা। পেঁয়াজও পাইকারিতে ৫৩ টাকার চেয়ে ৭ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। বড় কোয়ার চায়না রসুনের দর ১১০ টাকা আর আদা মিলছে ১৫০ টাকায়। তবে কি বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি হবে না এসব পণ্য?

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘আদা কিনে আনবো ১৬০ টাকা করে বিক্রি করবো ১২০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ টাকা মণ এখন  আমি ২৩ টাকা কেজি কিভাবে বিক্রি করবো?  আপনি আমাকে ২৩ টাকায় আলু দেন, আমি ২৩ টাকায় বিক্রি করবো। দোকান ভাড়াও আমি নিজে দিবো।’

আরেকজন বলেন, ‘যেখানে উৎপাদন হয় সেখানে দাম কমানো প্রয়োজন। তাহলে আমরা অবশ্যই কম দামে আনতে পারবো এবং কম দামে বিক্রি করতে পারবো।’

ডাল জাতীয় পণ্যের বাজারে গেলে পাইকাররা দেখান মিলের ক্রয় রশিদ। ব্যবসায়ীদের ছোট দানার মসুর ডাল কিনতে কেজিতে খরচ পড়েছে ১২৬ টাকা, বিক্রি করছেন ১২৭ থেকে ১২৮ টাকায়। মোটা দানার ডালের বিক্রয় মূল্য ১০৩ থেকে ১০৫ টাকা, মুগ ডাল নির্ধারিত দামের চেয়েই পাইকারিতে ১৮ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। রমজানে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ছোলার পাইকারি দর ১০৪ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানান, উৎপাদক পর্যায়ে দাম নির্ধারণ না হলে তাদের বিক্রি করা অসম্ভব হয়ে যায়।

আরেকজন পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, ‘ছোলা আমরা ১০২ টাকা করে কিনি। সেখানে ১ টাকা খরচ আছে আর আমরা ১০৪ টাকা করে বিক্রি করি। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর যেভাবে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেভাবে আমরা বিক্রি করতে পারবো না।'

এক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, ‘সরকার বলে একদাম কিন্তু পাইকারি বাজারে আসলে দেখি আরেক দাম।’

বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দর আগেও নির্ধারণ হয়েছে সরকারের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। তবে এবার যেহেতু উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা তিন পর্যায়ে দাম ঠিক হয়েছে তাই কঠোর তদারকির মাধ্যমে ঊর্ধ্বমুখী বাজার নিয়ন্ত্রণের আশা ভোক্তাদের।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর