রমজানের বাজার করতে গিয়ে যেন খেই হারিয়ে ফেলার দশা ক্রেতাদের। একদিনেই বদলে গেছে দামের হিসাব, যা মেলানো কঠিন তাদের জন্য। মুদি, মাছ মাংস কিংবা কাঁচা সবজি। দাম বাড়েনি, এমন পণ্য বাজারে কমই আছে।
শুরুতে সবজির বাজারের কথাই বলা যাক। গতকালও প্রকারভেদে বেগুনের দাম ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। মাত্র একদিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি বেগুনের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। আর টমেটোর দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা।
একদিন আগে দেশি শসা বিক্রি হয়েছে কেজিতে ১০০ টাকা, এখন যার দাম ১২০। ৮০ টাকার হাইব্রিড শসাও হাঁকিয়েছে শতক। ক্ষিরার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। দাম বেড়েছে ফুলকপিসহ অন্যান্য সবজিরও।
রমজান মাসে যে পণ্যগুলোর চাহিদা বাড়ে, বিশেষ করে পেয়াজু কিংবা চপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়- এমন প্রতেকটির মুদিপণ্যেরই দাম বেড়েছে। ৪/৫ দিনের ব্যবধানে ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। মসুর ও খেসারির ডালে কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেড়েছে।
বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। সোনালী মুরগি কয়েকদনি আগে বিক্রি হয়েছে ২৯০ টাকা, এখন সেটা কেজিপ্রতি ৩৪০ টাকা। এক সপ্তাহ না যেতেই দেশি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১৮০ টাকা। বেড়েছে লাল মুরগি এবং ব্রয়লারের দামও। আগুন লেগেছে মাছের বাজারেও। ইলিশে কেজিপ্রতি বেড়েছে ২শ' টাকা। বেড়েছে অন্যান্য মাছের দামও।
কেন রমজান আসলেই নিত্যপণ্যের দাম এভাবে আকাশচুম্বি হয়ে যায়? সে প্রশ্ন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই। তবে চড়া বাজারেও কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভ্রাম্যমান মাছ, মুরগি, ডিম ও দুধের দোকান। রোববার (১০ মার্চ) থেকে শুরু হওয়া রাজধানীর ৩০টি পয়েন্টে ২৮ রমজান পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়েরে কর্মকর্তারা।