এক সপ্তাহ আগেই বিশ্ববাজারে ভারতের পাঁচ শতাংশ ভাঙা আধাসেদ্ধ চাল টনপ্রতি বিক্রি হয়েছিল ৫৪৬ থেকে ৫৫৪ ডলারে। আগের চেয়ে বেড়ে চলতি সপ্তাহে একই চালের রপ্তানি মূল্য ৫৫২ থেকে ৫৬০ ডলার প্রতি টন, যা রেকর্ড সর্বোচ্চ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সম্প্রতি ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক গণনার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনে ভারতের শুল্ক বিভাগ। এরপর থেকে আধাসেদ্ধ কয়েক ধরনের চাল রপ্তানির চুক্তি করলেও আগের চেয়ে অনেকটা বেড়ে গেছে চালের দাম, যা দিতে রাজি নয় ক্রেতারা। রেকর্ড সর্বোচ্চ দামের কারণে ক্রেতা দেশগুলো মুখ ফিরিয়ে নেয়ায় শুল্ক গণনার পদ্ধতি পরিবর্তনের মাশুল গুণতে হচ্ছে ভারতের চাল ব্যবসায়ীদের।
বিশ্বের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশটির যখন এ হাল, তখন বিশ্ববাজারে তীব্র সংকটের মুখে দাম বেড়েছে থাই চালেরও। থাইল্যান্ডের পাঁচ শতাংশ খুদসহ চাল গেল সপ্তাহে বিক্রি হয় প্রতি টন ৬১৫ ডলারে, যা চলতি সপ্তাহে ৬২০ থেকে ৬২২ ডলার। চাহিদা বেশি বলে দাম বাড়লেও চলতি সপ্তাহে বাজারে নতুন চাল এলে দাম কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংককের ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে ভিয়েতনামে চালের দাম বেশ কমেছে। যেখানে ভারতীয় চাল কিনতে প্রতি টনে কমপক্ষে ছয় ডলার এবং থাই চালে পাঁচ থেকে সাত ডলার বেশি গুণতে হচ্ছে, সেখানে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভিয়েতনামিজ চালের দাম প্রতি টনে কমেছে ১৫ ডলার। গেল সপ্তাহে দেশটির পাঁচ শতাংশ খুদসহ চালের রপ্তানি মূল্য ছিল প্রতি টন ৬শ' ডলার, যা চলতি সপ্তাহের শুরুতে ৫৭৫ ডলারে নামে। সপ্তাহের শেষে কিছুটা বেড়ে দাম হয়েছে ৫৮০ ডলার।
ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফসল তোলার সময় হয়ে এসেছে বলে এখনই দেশটির চাল কেনায় তাড়াহুড়ো করছে না আমদানিকারকরা। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় উৎপাদন ঝুঁকির মুখে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাই বাড়তি দামে চাল কিনে মজুত বাড়াতে শুরু করেছেন।