জাতীয় নির্বাচনের কয়েকদিন আগ থেকেই দেশের হাট-বাজারে চালের দাম বাড়তে শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে সরকার চালকল, আড়ত ও বাজারগুলোয় নজরদারি বাড়ায়, চলে অভিযান। এমনকি খাদ্যমন্ত্রী স্বয়ং অভিযানে অংশ নেন। জরিমানাসহ সিলগালা করা হয় চালকল। তবে এসব অভিযানে চালের উর্দ্ধমুখী প্রবণতা রোধ করা গেলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।
হাট-বাজারে ধানের দাম আবার বাড়ায় মোটা চাল কেজিতে একটাকা বাড়ার কথা জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। বগুড়ার বাজারে চিকন কাটারি ৬৬ টাকা, মাঝারি ২৮, ২৯ ও ৪৯ জাতের চাল ৫৪ টাকা এবং মোটা জাতের চাল ৪৮ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।
চালের খুচরা বিক্রেতারা বলেন, ‘কিছুদিন আগে চালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও হঠাৎ করে দাম বাড়ছে। মিল মালিকদের কাছ থেকে আমাদের মোটা চাল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আর বেচাকেনাও তেমন ভালো হচ্ছে না।’
চালকল মালিকরা বলছেন, দাম কমানোর জন্য অভিযান করে খুব একটা লাভ হবে না। যদি ধানের দাম কম থাকে, সরবরাহের ঘাটতি না থাকে তবে এমনিতেই চালের দাম কমবে। মিল মালিকদের কোনো সিন্ডিকেট নেই বলে দাবি করেন তারা।
বগুড়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি এটিএম আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দাম যেটা আছে, সেটা থাকবেই। কেননা মিলাররা যদি ধান কম দামে কিনতে পারে, তাহলে কম দামে চাল বিক্রি করতে পারবে।’
বগুড়া জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন বলেন, ‘চালের বাজার বেড়ে যাওয়ার পর সরকারি পদক্ষেপে বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।’ যেসব চালকল সরকারি আইন লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার কথাও তিনি জানান।
চলতি বছরের দুই মাসে বগুড়ায় ৯৩১টি অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি দুটি চালকল সিলগালা করা হয়েছে।