সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় এই রুটে ট্রানজিট দিয়ে বিপুল বাংলাদেশি যাত্রী পরিবহন করে আসছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এয়ারলাইন্সগুলো। এতে যাত্রীদের সর্বনিম্ন সময় লাগে ১৫ ঘণ্টা আর সর্বোচ্চ ৪০ ঘণ্টা।
ইতালির প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রধান লক্ষ্য ধরে ২৩ তম রুটের পরিকল্পনা সাজিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। রোমে পাখা মেলতে বেছে নিয়েছে স্বাধীনতা দিবসকে। শুরুতে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট চলবে। এরই মধ্যে টিকিট বিক্রিও শুরু হয়েছে।
এই রুটে ইকোনমি ক্লাসে একমুখী সর্বনিম্ন ভাড়া ৬৪ হাজার ৩৫৫ টাকা থেকে শুরু হবে এবং রাউন্ড ট্রিপ টিকিটের মূল্য শুরু হবে এক লাখ ৪ হাজার ৫৬৮ টাকা থেকে। বোয়িং-সেভেন এইট সেভেন ড্রিমলাইনার দিয়ে সরাসরি চালানো এই রুটে সময় লাগবে মাত্র ৯ ঘণ্টা। কোড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে রোমের অন্যান্য গন্তব্যে যাওয়ারও চেষ্টা চলছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি শফিউল আজিম বলেন, ‘রোম থেকেও যেন যাত্রীরা অন্যান্য গন্তব্যে যেতে ও আসতে পারে, সেজন্য আমরা কাজ করছি। আমরা চাই, রোমের সঙ্গে অন্যান্য বড় শহরের সম্পর্ক তৈরি করা।’
২০২২ সালে চালু হওয়া বিমানের ঢাকা-টরন্টো ফ্লাইটটি বর্তমানে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রিফুয়েলিং করতে টেকনিক্যাল ল্যান্ডিং দিয়ে থাকে। এই ফ্লাইট চালু হলে টরন্টোগামী বিমান রোমেই স্টপওভার দেয়ার কথা ভাবছে বিমান। তাতে বিমানবন্দরের খরচ কমার পাশাপাশি ক্রুদের কাছ থেকে বেশি সেবা পাওয়া যাবে।
অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ উইং কমান্ডার (অব.) এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম ফিউমিচিনো বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনায়বিমানের ইমেজ বাড়বে। এই রুটে সফল হতে শুধু প্রবাসীদের ওপর নির্ভর না করে বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে হবে।’
রোম পরবর্তী এ বছরই মালদ্বীপ, কুনমিং ও ম্যানিলায় ডানা মেলতে চায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
অনেকের কাছে স্বপ্নের দেশ ইতালি। ৯০ এর দশকে এখানে প্রথম পায়ের ছাপ ফেলে বাংলাদেশিরা। ২০০০ সালের পর থেকে আনাগোনা বাড়তে থাকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের। বর্তমানে ইতালিতে নিয়মিতভাবে বসবাস করেন দেড় লাখের বেশি বাংলাদেশি। আর বছরে বাংলাদেশ-ইতালি যাওয়া আসা করেন প্রায় তিন লাখ যাত্রী।