বিদেশে এখন
0

পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করলো ভারত

বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে ভারত। আগামী ২ মাসে ৩ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে দেশটি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, দেশটির বাজারে পেঁয়াজের মজুত এখন সন্তোষজনক।

পেঁয়াজ রপ্তানিতে বিশ্ববাজারে শীর্ষ ভারতে বছরের শুরু থেকেই চাষিদের জন্য পরিস্থিতি অনুকূলে নেই। সরকারি বিধিনিষেধের কারণে ভালো দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছেন না আগে থেকেই ক্ষতির মুখে থাকা কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

প্রতিকূল আবহাওয়ায় গেলো বছর বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে ক্ষেতেই। খুচরা বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে প্রথমে আগস্টে পেঁয়াজে ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ, এরপর ডিসেম্বরে রপ্তানিই সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার; যা কার্যকর থাকবে কমপক্ষে আগামী মার্চ পর্যন্ত।

এ নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই সোমবার হঠাৎ প্রতিবেশী দেশগুলোকে নির্দিষ্ট পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির ঘোষণা দেয় নয়া দিল্লি। মার্চ পর্যন্ত দুই মাসে বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মরিশাসসহ প্রতিবেশীদের ৩ লাখ টন পেঁয়াজ দেবে ভারত।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিদিনের রান্নায় অত্যাবশ্যকীয় কৃষিপণ্যটি রপ্তানি বন্ধের পর নয়া দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ ও বিশেষ অনুরোধের প্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ নেয় মোদি প্রশাসন। কাজেই আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের। সুনির্দিষ্ট কয়েকটি দেশ পেঁয়াজ আমদানিতে চিঠি দেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে যা গেল সপ্তাহে প্রস্তাব আকারে উপস্থাপন করা হয়  ভারতের  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ'র কাছে।

ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে অভ্যন্তরীণ বাজারে গত বছরের ডিসেম্বরে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৬০ রুপি থেকে ২০ রুপিতে নেমে আসে। বর্ষার মৌসুমে আবাদ করা ১৫ লাখ টন শস্য বর্তমানে মজুত রয়েছে। আর শীতকালীন আবাদ বাজারে পৌঁছাতে শুরু করবে মার্চ নাগাদ, সর্বোচ্চ ফসল পৌঁছাবে এপ্রিলে। রবি শস্য কয়েক মাস মজুতযোগ্য হওয়ায় দুই মাসে তিন লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানিতে অভ্যন্তরীণ বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছে নয়া দিল্লি।

২০২২-২৩ সালে রেকর্ড ২৫ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে ভারত। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর, ৯ মাসে ১৬ লাখ টন পেঁয়াজ বিশ্ববাজারে ছেড়েছে দেশটি, যার বেশিরভাগই কিনেছে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল।

ইএ