পরিষেবা
অর্থনীতি
0

এক বছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে

এক বছরে ৬৫ শতাংশ সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে আর্থিক খাতে, পাঁচ বছরের হিসেবে যা প্রায় ৩০০ শতাংশ। তথ্যপ্রযুক্তির রাজত্বে এটা শনাক্ত করা গেলেও প্রমাণ করে বড় ধরনের অর্থপাচারের। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট-বিএফআইইউয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রতিবেদন ওঠে এসেছে এমন চিত্র।

প্রযুক্তির নাটাইয়ে এখন ঘুরছে বিশ্ব। যোগাযোগের এই হাওয়াই জাহাজ ভেঙেছে বিশ্বের যে কোন সীমানা প্রাচীর। অন্তর্জালের প্রসারে কাগজের নোট থেকে এখন ডিজিটাল লেনদেনে উৎসাহী করছে।

আর্থিক খাতে গতি, আধুনিকায়ন আর স্বচ্ছতা আনতে বাংলাদেশের আর্থিকখাতেও এসেছে পরিবর্তন। ইতিবাচক দিক পূর্বের তুলনায় লেনদেনের গতি বেড়েছে। তবে শুভঙ্করের ফাঁকি ধরা পড়ছে।

বিএফআইইউর তথ্য বলছে গত অর্থবছরের তুলনায় সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত হয়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ বেশি। যার অন্যতম কারণ ডিজিটাল হুন্ডি, মানি এক্সচেঞ্জ, ক্রিপ্টো কারেন্সি। তবে সে তুলনায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো থেকে পাওয়া সহযোগিতা বাড়েনি।

বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, 'বিদেশে যদি অর্থ একবার পাচার হয়ে চলে যায় তাহলে সেটা ফিরিয়ে আনা খুব কঠিন। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আমাদের কাছে তথ্য চাইলে আমরা সবসময় দেয়ার জন্য চেষ্টা করি। কিন্তু তাদের কাছ থেকে আমরা অনেক সময় কোন তথ্য পাই না।'

অন্যদিকে ই-কমার্সে অর্থপাচার কমলেও বাণিজ্যিক লেনদেনের আড়ালে অর্থ কেলেঙ্কারি এখনো মোটা দাগে সক্রিয়। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঋণ গ্রহন করে অর্থ পাচারের হার। এর জন্য ব্যাংকিং খাতকে দুষলেন বিএফআইইউ প্রধান।

এছাড়া অর্থ কেলেঙ্কারি মনিটরিংয়ে বিভিন্ন সংস্থার সক্ষমতা বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দক্ষতা বেড়েছে সিআইডি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের হার, যথাক্রমে ১৩৬ ও ১৫০ শতাংশ।