অর্থনীতি , গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
0

সবজি রপ্তানির বাজারে পিছিয়ে বাংলাদেশ

ইউরোপের সবজির বাজারে বড় সম্ভাবনা

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় হলেও রপ্তানির বাজারে জায়গা করতে পারছে না বাংলাদেশ। অথচ গুড এগ্রিকালচার প্রাকটিস-গ্যাপ সনদ অনুসরণ করে সবজি উৎপাদন করতে পারলে ইউরোপের সবজির বাজারে বড় জায়গা করতে পারে বংলাদেশ।

সবজি ভান্ডার হিসেবে দেশব্যাপী বগুড়ার শিবগঞ্জের খ্যাতি আছে। সম্প্রতি এখানেই নিরাপদ সবজি চাষের একটি প্রকল্প পরিদর্শনে আসেন নেদারল্যান্ড অ্যাম্বাসির চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স থাইজ ওয়াউড স্ট্রা।

পরিদর্শন শেষে এখন টেলিভিশনকে থাইজ বলেন, ইউরোপের বাজারে সবজির ব্যাপক চাহিদা আছে। তবে এজন্য নিশ্চিত করতে হবে স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা। একইসাথে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা নিয়েও ভাবার পরামর্শ দেন থাইজ।

ইউরোপসহ বিশ্ববাজারে সবজি রপ্তানির ক্ষেত্রে সবজির গুণগত মান নিশ্চিতে প্রয়োজন গুড এগ্রিকালচার প্র্যাকটিস বা গ্যাপের সনদ। আর এটি পেতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে উৎপাদন করতে হয় নিরাপদ সবজি। কোন কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই প্রক্রিয়া মানলেও বেশিরভাগ কৃষক এ নিয়ে এখনো অন্ধকারে।

কৃষকরা বলেন, 'আমাদের বাপ-দাদারা যেভাবে চাষ করেছে সেভাবেই আমরা চাষ করি। এখন অবশ্য চাষাবাদে পরিবর্তন আসতেছে।'

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে এ অঞ্চল থেকে সবজি রপ্তানির দারুণ সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এজন্য ল্যাব স্থাপন ও ভর্তুকি বৃদ্ধির দাবি রপ্তানিকারকদের। এদিকে গ্যাপের সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সবজি চাষে একটি প্রকল্প চলমান বলছে কৃষি বিভাগ।

বগুড়ায় উৎপাদিত আলু। ছবি: এখন টিভি

সবজি রপ্তানিকারক সাগর হোসেন বলেন, আমাদের এখানে ল্যাব থাকলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আমরা রপ্তানি করতে পারতাম। এখন আমাদের ঢাকায় যেতে হয়, যা বেশ ঝামেলার হয়ে যায়।’

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মতলুবর রহমান বলেন, ‘গ্যাপের নীতিমালা অনুসরণ করে যদি উৎপাদন করতে পারি তাহলে আরও বেশি রপ্তানি করতে পারবো।’

কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ইউরোপে প্রায় ১৩শ' টন সবজি ও ১২শ' টন ফল রপ্তানি হয়েছে। পরের অর্থবছরে বিদেশে সবজি গেছে প্রায় ২ হাজার টন। এখন পর্যন্ত রপ্তানি বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত আছে, যা আরও বাড়াতে খাদ্যপণ্যের মান নিশ্চিতসহ বাজার সম্প্রসারণের তাগিদ খাত সংশ্লিষ্টদের।