অটোমেটিক ফায়ার ওয়াটার ক্যানন মেশিন বড় বড় শিল্প কারখানা বা ওয়্যারহাউজে লেজার টেকনোলজির মাধ্যমে আগুনের শিখাকে চিহ্ণিত করে অগ্নি নির্বাপক হিসেবে অটো কাজ করে এই যন্ত্র।
এবারের আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপোতে এই যন্ত্র ছাড়াও অ্যারোসল টেকনোলজি নিয়ে এসেছে স্টার ইঙ্ক কোম্পানি। এই অগ্নি নির্বাপক অ্যারোসল যেকোন ইলেক্ট্রিক প্যানেলের ভেতর রেখে দিলে মিলবে ১৫ বছর পর্যন্ত ফায়ার সেফটি।
এছাড়া হাইপেরি কোম্পানি এ বছর এনেছে রকওল। সাউন্ডপ্রুফ রুম, পাওয়ারপ্ল্যাট বা ব্রয়লারে ব্যবহার করা হয় এই যন্ত্র।
হাইপেরির চেয়্যারম্যান শহীদুল ইসলাম বলেন, 'এটা এই মার্কেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য। কারণ এটা আমাদের সব কাজে ব্যবহার করা হয়।'
শিল্প কারখানা, অফিস কিংবা বহুতল আবাসিক ভবনে আগুন নেভানো ও প্রতিরোধে ব্যবহৃত নানা ধরণের আধুনিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি প্রদর্শিত হচ্ছে এবারের মেলায়। ফলে সাড়াও মিলছে ভালো।
প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা বলেন, 'আমাদের এখানে অনেক ধরনের ডিভাইস রয়েছে। যেগুলো কোথায় আগুন লেগেছে তার ম্যাপ এবং সতর্কীকরণ দিবে। একমাত্র গার্মেন্টস খাতটাই আগুনের বিষয়টাতে গুরুত্ব দিচ্ছে।'
অগ্নি নির্বাপক সব ধরণের যন্ত্র এবং নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার জানতে এবং দেখতে মেলায় এসেছেন অনেক দর্শনার্থী।
সম্ভাবনার এ খাতে দেশের বড় বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। বলেন, 'শিল্পমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা থাকবে আপনাদের জন্য। আপনারা এগিয়ে আসুন।'
অগ্নি নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ব্যাপারে সচেনতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই প্রতিবছরের মতো এবছরও ফায়ার সেফটি এক্সপোর আয়োজন করেছে ইলেক্ট্রনিকস সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন। এই এক্সপো চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টা পর্যন্ত।