কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হলে রাস্তায় নামে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যের হাজার হাজার কৃষক। দাবি আদায়ে দিল্লি চলো কর্মসূচি শুরু করে গত মঙ্গলবার। তাদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম ফসলের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ আইনের আওতায় আনা, কৃষিঋণ মওকুফ ও কৃষকদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহার।
তবে দিল্লি চলো যাত্রায় পদে পদে বাধার মুখে পড়েন কৃষকরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। ড্রোন দিয়ে ফেলা হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। কৃষকদের ঠেকাতে আগে থেকেই সবরকম ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে মোদি সরকার। কড়া নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হয়েছে রাজধানীর সব প্রবেশপথে।
এর প্রতিবাদে শুক্রবার শ্রমিক ও কৃষকরা ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে। সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলবে। দুপুর ১২টা থেকে প্রধান সড়ক-মহাসড়কে বন্ধ থাকবে যান চলাচল। বন্ধ থাকবে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, দোকানপাট। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি পরিষেবাগুলোর কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চায় তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর একটি দল। বিকাল ৫টার বৈঠকে কৃষকদের দাবির বিষয়ে কথা হবে। এ নিয়ে তৃতীয় দফার সংলাপে বসছে দুই পক্ষ। গত ৮ ও ১২ ফেব্রুয়ারির দুই দফার আলোচনা বিফলে যায়।
নির্বাচনের কয়েক মাস আগে কৃষকদের এমন আন্দোলনে অনেকটা দুশ্চিন্তায় বিজেপি সরকার। বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হলে প্রভাব পড়বে আসন্ন নির্বাচনে। কারণ, ভারতের মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের দুই ভাগ কৃষক। দেশটির মোট জিডিপিতে কৃষকদের অবদান পাঁচ ভাগের এক ভাগ।
২০২০ সালে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কৃষকরা। ২০২১ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে ঢুকে পড়েছিলেন তারা। বিক্ষোভের মুখে তাদের দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও, তা পূরণ করেনি ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার।