বিশ্ব ইজতেমার এই ধর্মীয় সমাবেশ শান্তি, কল্যাণ ও একাত্ববাদের পাশাপাশি সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের। সকালে আমিন আমিন ধ্বনিতে শুরু হয় বয়ান। বয়ান শুনতে থাকেন বিশ্ব ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা। যা পরিচালনা করেন মাওলানা সাঈদ বিন সাদ।
বাদ যোহরের পর হালকা তালিম থেকে মুসল্লিরা শিক্ষা নেন ইসলামের মৌলিক ৫ টি স্তম্ভ কালেমা, নামায, রোজা, হজ, যাকাতের বিষয়ে। এসময়ে খিত্তা বা তাবুর নিচে ইসলামের শাশ্বত বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সাদ'র আরবি বয়ান বাংলায় তরজমা করেন দেশের আলেম ওলামারা।
আগত মুসল্লি ও মেহমানরা বলছেন, দাওয়াত ও তাবলিগের মাধ্যমে ইসলাম নামক বটবৃক্ষে ডালপালা ছড়ায়, পাতা গজায়। যদিও মহান এ কাজ অত্যন্ত কঠিন। তারপরও সর্বশ্রেষ্ঠ নবির উম্মত হিসাবে এ পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে চান।
মুসল্লিরা আরও বলেন, দাওয়াত ও তাবলিগের মাধ্যমে ইসলামের ছায়ায় মানুষকে আহ্বান জানানো হচ্ছে তুরাগ তীরে। হানাহানি, অশান্ত বিশ্ব থেকে মুক্তি পেতে শামিল এই জমায়েত।
৫৭ তম এই বিশ্ব ইজতেমায় ৬ হাজার বিদেশি মেহমান উপস্থিত রয়েছেন। এটি মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ সমাবেশ। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।