মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে বান্দরবানের ঘুমধুম আর তুমব্রু সীমান্তে অস্থিরতা চলমান। তবে কিছুটা হলেও এর রেশ ছড়িয়েছে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তে।
বৃহস্পতিবার রাতভর টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে গোলাগুলি চলে। আর এপারের বাসিন্দারা উৎকণ্ঠায় কাটিয়েছেন।
তবে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঝিমংখালী সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার ভেতরে মারিক্কমপাড়া ও হারিংগাছা এলাকায় মর্টারশেল হামলা ও গোলাগুলির খবর মিলেছে। বিভিন্ন স্থানে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা দেয়। তবে দূরত্ব বেশি হওয়ায় টেকনাফ সীমান্তে এর আঁচ পড়েনি। তাই টেকনাফ সীমান্তে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘ক্যাম্পের ওই পাশে গোলাগুলি হইতেছে কিন্তু এই পাশে পড়ে নাই। সবসময় খালি গুলির শব্দ শোনা যায়।’
এদিকে দুপুরে আবারও মর্টার শেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দে ঘুমধুম সীমান্ত কেঁপে ওঠে। এর আগে বুধবার একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়। যেটি এরইমধ্যে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে ৩৩০ জন সীমান্তরক্ষী আশ্রয় নিয়েছেন। তবে ইতিমধ্যে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি প্রক্রিয়া চলছে। নিশ্চয়ই দুই সরকারের মধ্যে আলোচনা করে এটা নিশ্চিত করবেন তারা।’
গেল ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার থেকে বান্দরবানের ঘুমধুমে উড়ে আসা মর্টার শেলের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা।