প্রচলন আছে টমটম, চমচম আর তাঁতের শাড়ি- এই তিন মিলে টাঙ্গাইলের বাড়ি। পথঘাট থেকে টমটমের বিলুপ্তি ঘটলেও স্বমহিমায় টিকে আছে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী চমচম ও তাঁতের শাড়ি।
এরমধ্যে গেল ৯ জানুয়ারি চমচম ভৌগলিক নির্দেশক জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। এই অর্জনে গর্বিত হলেও চমচমের দাম ও মান নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, 'সারাবিশ্বে এটার (চমচম) একটা সুনাম হয়েছে এজন্য আমরা সবাই গর্বিত। বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষজন মিষ্টি নিতে আসে। অনেক দেশেও এই মিষ্টি যায়। সব জিনিসের দাম বেশি তাই মিষ্টির দাম বাড়ছে।'
ইতিহাস গবেষকদের মতে আদি এই মিষ্টির বিশ্বজুড়ে খ্যাতি ছিল। মহারাণী ভিক্টোরিয়া থেকে শুরু করে এর স্বাদ নিয়েছেন বিশ্বখ্যাতরা।
গরম তেলে ভাজা হচ্ছে বিখ্যাত চমচম
ইতিহাস গবেষকগণ বলেন, 'পোড়াবাড়ির চমচমের সুখ্যাতি সারা পৃথিবীব্যাপী। ভারত থেকে কবি-সাহিত্যিকরা এসেই টাঙ্গাইলের চমচম খেতে চায়। নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হলে এর স্বাদটা বিগত সময়ের মতোই থাকবে।'
এই স্বীকৃতি বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে জানিয়ে এ খাতের সীমাবদ্ধতা কাটাতে সরকারের হস্তক্ষেপ চান ব্যবসায়ীরা।
জেলা রেস্তোরাঁ ও মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি স্বপন ঘোষ বলেন, 'যেহেতু এটা সুনাম বয়ে এনেছে সেই হিসেবে এটার মানটা আমরা ধরে রাখার চেষ্টা করবো। এতে কোন ভুল নাই।'
এদিকে চমচমের মান উন্নয়নের কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম। বলেন, 'দেশ এবং দেশের বাইরে এই পণ্যগুলোর সমৃদ্ধির জন্য তথ্যগুলো পৌঁছানো এবং মানুষের আধিক্য কিভাবে বাড়াতে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। ধাপে ধাপে সেগুলো বাস্তবায়ন করবো।'
এখন টাঙ্গাইলের ভৌগোলিক নিদের্শক পণ্যের স্বীকৃতির অপেক্ষায় আছে তাঁতের শাড়ী, মধুপুরের আনারস আর জার্মুকির সন্দেশ।