বিদেশে এখন
0

হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চায় না ইসরাইল

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে গেলেও লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর বেলায় তা কার্যকর হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।

শনিবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল সংঘাত জিইয়ে রাখতে চায়- এমন আভাস মিলছে।

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা কোন ভাবেই শেষ করতে চায় না ইসরাইল। গাজায় যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হলেও হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাত চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে খবর প্রকাশ করেছে তুরস্ক ভিত্তিক রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলু। সেখানে বলা হয়, গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও, লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে তারা। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারের একই কথা জানান ইয়োভ গ্যালান্ট।

হিজবুল্লাহর প্রতি ইসরাইলের এই হুঙ্কারে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, এ অঞ্চলে সহসাই সংঘাত-সহিংসতা বন্ধ করছে না তেল আবিব। ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার অজুহাতে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে তারা।

অবশ্য ইসরাইল-লেবানন উত্তেজনা নতুন নয়। শুধু যে গাজা ইস্যুতে সংঘাতে জড়িয়েছে তারা, তা নয়, দশকের পর দশক ধরেই তেল আবিবের সঙ্গে শত্রুতা রয়েছে বৈরুতের।

১৯৪৮ সালে 'নাকবা' বা ইসরাইলের রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর লাখো ফিলিস্তিনি আশ্রয় নেন লেবাননে। আর ইসরাইলের স্বাধীনতা ঘোষণার পরদিনই দেশটিতে আক্রমণ করে মিশর, জর্ডান, ইরাক, সিরিয়া ও লেবানন। সেই থেকেই লেবাননের সঙ্গে শত্রুতা শুরু ইসরাইলের।

আর গত ৭৫ বছরে অন্তত ৩ বার লেবানন আক্রমণ করেছে ইসরাইল । যার মধ্যে সবচেয়ে বড় আক্রমণ ছিলো ১৯৮২ সালে। এবার ফিলিস্তিনিদের পক্ষে হামাসের পাশে দাঁড়িয়েছে লেবাননের স্বশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।

এরইমধ্যে ইরানপন্থি যেসব গেরিলা গোষ্ঠী ফিলিস্তিদের পক্ষে যুদ্ধ করছে, তাদের মধ্যে অন্যতম লেবাননের এ স্বশস্ত্র গোষ্ঠীটি। ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে তুমুল উত্তেজনা তৈরি করেছে এরা। প্রায় প্রতিদিনিই রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে হত্যা করছে আইডিএফ সেনাদের।

এমএসএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর