শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় অমর একুশে বইমেলার প্রথম শিশু প্রহর শুরু হয়। সেখানে সিসিমপুরের চরিত্রগুলোর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়ে শিশুদের খুশির অন্ত ছিলো না। তবে বই কিনতেও ভুল করেননি।
শিশুরা জানায়, হালুম-টুকটুকি তাদের খুব পছন্দ। সিসিমপুর দেখে তাদের খুব ভালো লেগেছে। এই প্রথমবার এসে তারা খুব খুশি। বই কেনার পাশাপাশি অনেক মজাও করছে তারা।
সিসিমপুরের শো শেষ হওয়ার পর ছবি আঁকার পালা শুরু হয়। কোমল দুটো হাতে সাদাকালো ক্যানভাসে একে দেওয়া রঙের আঁচড়। প্রিয় কিছু চরিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা।
ছবি আঁকতে থাকা এক শিশু বলে, 'এখানে এসে আমি গল্পের বই এবং ভূতের বই দেখেছি। আমি সিসিমপুরের ইকরিকে এঁকেছি। বই দেখতে এবং পড়তে খুব ভালো লাগে।'
মেলায় সন্তানকে নিয়ে এসে বই হাতে তুলে দিয়ে তৃপ্তির কথা জানান অভিভাবকরা। বলেন, 'সিসিমপুরের অনেকগুলো বই কিনে দিয়েছি। সিসিমপুরের প্রোগ্রামগুলো খুব ভালো। এখানে বাচ্চাদের নিয়ে আসা উচিত। তাদের মানসিক বিকাশে এর চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না।'
মেলায় অনেক স্টল এখনও গুছিয়ে উঠতে না পারলেও শিশু কর্নার প্রস্তুত।
বিক্রেতারা বলেন, 'বাচ্চাদের জন্য ভৌতিক কাহিনীসহ অনেক ধরনের আনন্দদায়ক বই আছে। আজকে মেলার দ্বিতীয় দিন, তাই বই কেনার হিড়িক নেই। তবে দেখার আগ্রহ আছে। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের সব বই এসে যাবে।'
রঙিন মলাটের বইয়ের পাতা ছুঁয়ে দেখতে পারায় উচ্ছ্বসিত শিশুরা। আর এমন করেই তদের বন্ধুত্ব গড়ে উঠছে বইয়ের সঙ্গে।