বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার গ্লোবাল ট্রান্সফারের রিপোর্ট অনুযায়ী এ তথ্য মিলেছে। আগের বছর থেকে শতাংশের হিসেবে প্রায় অর্ধেক বেড়েছে। যার খরচের হিসেব দাঁড়ায় ৪৮.১ শতাংশ।
এবার যদি এ হিসেবে ক্লাবগুলোকে সাজানো যায় সেখানে বরাবরের মতো ইংলিশ ক্লাবগুলো জায়গা পেয়েছে। ১২০ মিলিয়ন ইউরোতে এনজো ফার্নান্দেজের চেলসিতে যোগদান ও হ্যারি কেইনের ৯৫ মিলিয়ন বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেওয়ার মতো শীর্ষ দলবদলগুলো এতে ভূমিকা রেখেছে।
ইংলিশ ক্লাবগুলোর ব্যয় হয়েছে ২৯৬ কোটি ডলার। তার চেয়েও বড় কথা খরচের এ তালিকায় এরপরই সৌদি আরবের ক্লাবগুলো আছে। কয়েকদিন আগেই ঢাক ঢোল পিটিয়ে ইউরোপ থেকে খেলোয়াড় কিনেছে সৌদি আরব।
নেইমারের ২২২ মিলিয়ন ইউরো ছাড়াও সাদিও মানে সহ তারকা ফুটবলারদের উড়িয়ে সাফল্য যেমন পেয়েছে। একইভাবে সবার চক্ষুআড়ালে থাকা সৌদি ক্লাব ফুটবলেও নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
দলবদলে নারী ফুটবলকে এ হিসেবের বাহিরে রাখার সুযোগ নেই। ২০২২ সালের তুলনায় গেল বছর ২০ শতাংশ বেশি খেলোয়াড়ের দলবদল হয়েছে। ২০২২ সালে ৫০৭ ক্লাবের সংখ্যা বেড়ে ২০২৩ সালে ৬২৩টি হয়েছে।
ফিফার তথ্যমতে গেল বছর রেকর্ড ১৩১টি অ্যাসোসিয়েশন ১ হাজার ৮৮৮ নারী ফুটবলার ট্রান্সফারে জড়িত ছিল। যেখানে বার্ষিক ৬১ লাখ ডলার ব্যয় হয়েছে। ২০২২ সালের তুলনায় যা ৮৪.২ শতাংশ বেড়েছে।
একটা সময় কাড়ি কাড়ি টাকা ব্যয়ে ইউরোপকেন্দ্রিক ফুটবল ক্লাবগুলো বেশ দাপুটে ছিল। তবে সৌদির ক্লাবগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে। ভবিষ্যতে ফুটবলের এই বিশাল আর্থিক বাজারের নিয়ন্ত্রণে কারা বেশি দাপট দেখাবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।