প্রতিবেশি দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১। ভারতে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ১ হাজার ৬৪০ জন আক্রান্ত হয়েছে এই উপধরনে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শনাক্তের ৮৭ শতাংশই এই ভ্যারিয়েন্টের দাপট।
এরইমধ্যে বাংলাদেশও জেএন.১ উপধরনের সংক্রমণ ধরা পড়ার তথ্য জানিয়েছে আইইডিসিআর। ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই জেএন.১ আক্রান্ত হচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গেল বছরের ডিসেম্বরে করোনা শনাক্ত হয় ১৮৫ জনের। অথচ এবছরের প্রথম ২৫ দিনেই দেশে কোভিড শনাক্ত হয়েছে ৫৪৮ জনের।
ডিএনসিসি কোভিড-১৯ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. তাসনিম বলেন, 'রোগীর সংখ্যা কম হলেও যারা আসছেন তারা বেশিরভাগ বয়স্ক রোগী। যাদের হৃদরোগ, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে বা কিডনী জটিলতা ও রক্তচাপে ভূগছেন এমন রোগীর মাঝে করোনার সংখ্যা বেশি।'
কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। ছবি: এখন টিভি
এদিকে, রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর ভর্তির হার সামান্য। যারা ভর্তি হচ্ছেন তাদের শারীরিক অবস্থাও তেমন সংকটপূর্ণ নয়। তারপরও করোনা বিধিনিধেষ মানার আহ্বান চিকিৎসক ডা. তাসনিম এর।
দ্রুত সংক্রমণশীল এই ভাইরাস প্রতিরোধে আবারও দেশের মানুষকে সচেতন হবার তাগিদ দিয়েছেন জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি। নতুন ধরনটিতে মৃত্যুঝুঁকি তুলনামূলক কম থাকলেও সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন কমিটির প্রধান ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা। ভবিষ্যতে করোনা বেড়ে গেলে কোভিড পরীক্ষা, হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা এবং বিদেশ থেকে আসা যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।
ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, 'মাস্ক পড়ার মাধ্যমে দু'টি উপকার হবে। করোনা প্রতিরোধ করবে ও ধুলাবালিজনিত রোগ কমে যাবে। কোভিড চলাকালীন সময়ে যে চাপ ছিল সে চাপ নেই বলে আমরা গা ছাড়া হয়ে বসে থাকব তা থাকা যাবে না।'
দেশের অধিকাংশ নাগরিক টিকা কার্যক্রমের আওতায় এলেও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের করোনা টিকার তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে কারিগরি কমিটি।
করোনা মহামারির তাণ্ডব দেখেছে বাংলাদেশও। কয়েক ধাপের লকডাউনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, কর্মস্থল বন্ধ করেও থামানো যায়নি মৃত্যুর মিছিল।
করোনায় এপর্যন্ত দেশে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৭৯ জন। সবশেষ ২২ জানুয়ারি মারা গেছেন ঢাকার একজন।