দেশে এখন
0

পানি কেনা কমেছে ওয়াসার এটিএম বুথে

‘খরচ মেটাতে পানির দাম বাড়ানো হয়েছে’

ওয়াসার এটিএম কার্ডে মিলছে সুপেয় পানি। আর এ কারণেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ওয়াসার পানির বুথ। তবে বারবার পানির দাম বাড়ানোর কারণে বুথ থেকে পানি কেনা কমিয়ে দিয়েছেন গ্রাহকরা।

২০২৩ সালের ১ আগস্ট থেকে ঢাকা ওয়াসার এটিএম বুথের পানির দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। আগে প্রতি লিটার পানির দাম ছিলো ৪০ পয়সা। আর এখন গ্রাহকের খরচ হচ্ছে ৮০ পয়সা করে। প্রতি লিটার পানির দর ৭০ পয়সা ধার্য হলেও সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ১০ পয়সা ভ্যাট।

নগরবাসীকে নিরাপদ ও সুপেয় পানি সরবরাহে যৌথভাবে এটিএম বুথ চালাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ড্রিংকওয়েল এবং ওয়াসা। এতে পানি ফুটানোর ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়েছে রাজধানীবাসী।

বুথের পানি ক্রেতারা বলেন, ‘স্বাস্থ্যের চিন্তা করলে বুথ থেকে কিনতেই হয়। কিন্তু দিনে দিনে যেভাবে পানির দাম বাড়ছে তাতে কষ্ট বাড়ছে। পানির জন্য দ্বিগুণ খরচ করতে হচ্ছে।’

হিসাব বলছে, গত ১৪ বছরে ওয়াসার পানির দাম বেড়েছে ১৫ বার। আর গত পাঁচ বছরে রাজধানীতে পানির দাম বেড়েছে ৬ বার। অন্যদিকে বিগত ৩ বছরে ওয়াসার গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ। তবে গত বছর পানির দাম বাড়ানোর পর এটিএম বুথ থেকে উল্লেখযোগ্য হারে পানি নেয়ার হার কমেছে।

গ্রাহকের জন্য সরবরাহ করা ৪৩ মিলিয়ন লিটার পানির মধ্যে দাম বাড়ার পর ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে হঠাৎ করে বুথের পানির চাহিদা কমে যায় ১২ শতাংশ। পরের মাসে এটি ১ শতাংশে নামলেও নভেম্বর মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ শতাংশে। আর ডিসেম্বরে পানির চাহিদা কমে যায় ১২ শতাংশ। শীতে পানির চাহিদা কমার পাশাপাশি পানির দাম বাড়াও গ্রাহকের পানি কেনা কমানোর একটি বড় কারণ বলে মনে করেন বুথের অপারেটরা।

অপারেটররা বলেন, আগে ১৪ থেকে ১৫ হাজার লিটার পানি বিক্রি হতো, এখন ১০ হাজার লিটার বিক্রি হয়। দাম বাড়ার কারণে গ্রাহকের সংখ্যা আগের চেয়ে কমেছে।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, ‘যে দামে এটিএম বুথের মাধ্যমে গ্রাহককে পানি দেয়া হয় তাতে প্রতিষ্ঠানের খরচ ওঠে না। তাই পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ড্রিংকওয়েলের কথা বিবেচনায় নিয়ে পানির দাম বাড়ানো হয়েছে।’

বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার ৩২১টি পানির এটিএম বুথ রয়েছে। এর মধ্যে চালু আছে ২৯০টি। অন্যদিকে বর্তমানে ওয়াসার এটিএম বুথের গ্রাহক সংখ্যা ৪ লাখ ৩২ হাজার। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে এই সংখ্যা ছিলো ৩ লাখ ৮২ হাজার। আর তার আগের বছর এই সংখ্যা ছিলো ২ লাখ ৯৮ হাজার।