দেশে এখন
0

চট্টগ্রামে বেড়েই চলছে চালের দাম

চট্টগ্রাম

কোনে কারণ ছাড়াই চট্টগ্রামে ভরা মৌসুমেও বাড়ছে চালের দাম। আড়তদাররা মিল মালিকদের দায়ী করছেন। আবার মিল মালিকরা বলছেন বাজারে ধানের সংকট।

গেল এক সপ্তাহ ধরে বাড়ছে চালের দাম। মোটা, চিকন, আতপ, সেদ্ধ সব ধরনের চালের বস্তায় দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। ফলে প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রামের বৃহৎ চালের বাজার পাহাড়তলীতে।

বর্তমানে স্বর্ণা চাল প্রতি বস্তা ২ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট সিদ্ধ ২ হাজার ৬৫০, মিনিকেট আতপ ২ হাজার ৮৫০, পাইজাম আতপ ২ হাজার ৫০০, আটাশ ২ হাজার ৬৫০, জিরাশাইল ৩ হাজার ৩০০, নাজিরশাইল ৩ হাজার ৬০০ এবং কাটারি আতপ ৩ হাজার ৪৫০ টাকা বস্তাপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। আড়তদাররা বলছেন, মিল পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির কারণেই আড়তেও বেড়েছে দাম।

একজন আড়তদর বলেন, 'সার, ওষুধ, মজুরির দাম একসাথে বাড়ার কারণে দামের ওপর প্রভাব পড়েছে। ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চলেরও দাম বেড়েছে। বড় কোম্পনিগুলো চাল স্টক করার কারণে বাজারে চাল কম পাওয়া যাওয়ায় দাম বেড়েছে।'

তবে এখানকার আড়ৎদাররা চালের দাম বৃদ্ধির এ প্রবণতাকে অস্বাভাবিক বলছেন। তারা বলছেন, এখন আমনের ভরা মৌসুম। এসময়ে কখনও দামের এমন ঊর্ধ্বগতি দেখা যায় না। করপোরেট প্রতিষ্ঠান সারা বছরের জন্য ধান চাল মজুদ করায় বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে বলে দাবি তাদের। আর সংকটকে পুঁজি করে বেড়েছে দাম।

তবে দাম বৃদ্ধির প্রবণতা এক সপ্তাহ পর এসে কিছুটা নিম্নমুখী। সরকারের পদক্ষেপ এবং অভিযানে দামের এ নিম্নমুখী প্রবণতা বলে মনে করেন আড়তদাররা। তবে ছোট ছোট মিল, করপোরেট গুদামে চাল মজুদ করে রাখার প্রবণতা বন্ধ করা না গেলে এর সুফল মিলবে না বলেও দাবি আড়তদারদের।

তবে সবধরনের চালের দাম বাড়ায় মূলত কষ্টে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। মোটা চালও সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে তাদের। এমন পরিস্থিতিতে মোটা চালের বিক্রিও কমেছে। নিম্নআয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে ওএমএস এর মাধ্যমে চাল বিক্রির পরামর্শ দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরাই।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর