এদিকে দীর্ঘদিন পর জনসম্মুখে এসে পাওনা অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ই-ভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ৩০ জানুয়ারিতে ই-ভ্যালির ১০০ জন গ্রাহককে টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
দেশে বর্তমানে ই-কমার্সের বাজার ৪০ হাজার কোটির ওপরে। সিপিডিসহ বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার তথ্য বলছে, আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে যা দেড় লাখ কোটি টাকায় পৌঁছুবে। তবে এই শিল্পে বিনিয়োগ বাড়লেও বাড়েনি গ্রাহকদের আস্থা।
আস্থাহীনতার অন্যতম কারণ প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থ কেলেঙ্কারি। অভিযোগ রয়েছে, ৩২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। শুধুমাত্র ই-অরেঞ্জ বিরুদ্ধেই রয়েছে ৬ হাজার অভিযোগ। প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে গ্রাহকদের পাওনা ছিলো ৫৩১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ১৪৪ কোটি টাকা এখনও পায়নি গ্রাহকরা। গ্রাহকের কোন টাকা না দিয়েই দেশ ছেড়েছে অনেক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্তারা।
যারা দেশে রয়েছে তাদের মধ্যে আলোচনায় ইভ্যালি। দীর্ঘদিন পর জনসম্মুখে কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল। জানান, নতুন করে কার্যক্রম শুরুর পর লাভের মুখ দেখছে প্রতিষ্ঠানটি। শিগগিরই গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের আশ্বাস তার।
অনুষ্ঠানে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান, আগামী ৩০ জানুয়ারিতে ইভ্যালির ১০০ জন গ্রাহককে টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ভবিষ্যতে নীতি মেনেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবসা করতে হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
এখন পর্যন্ত ৪৪ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তির কথা জানান ভোক্তার মহাপরিচালক। বলেন, প্রতারণা ঠেকাতে সারাদেশে সিসিএমএস সিস্টেম চালুসহ থাকবে নজরদারি।
ভোক্তার মহাপরিচালক আরও বলেন, অনলাইন কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আনতে সরকার বিশেষভাবে নজর দিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে গ্রাহকদেরও চটকদার বিজ্ঞাপন, অফার ও ভুয়া প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।