শেষ সময়ে চলছে তড়িঘড়ি করে পাঠ্যবই মুদ্রণের কাজ। যে বই প্রাথমিক-মাধ্যমিকের শিশু-কিশোরদের হাতে পৌঁছাবে বছরের শুরুতেই। ২০২৪ শিক্ষা বছরের জন্য ৩ কোটি ৮১ লাখের বেশি শিক্ষার্থী হিসেবে ধরে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭০টি বই প্রস্তুত করতে এবার সরকারকে গুণতে হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। কিন্তু সেই বই প্রস্তুত হলো কতটুকু?
মুদ্রণ শিল্প সমিতি'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলছেন পাণ্ডুলিপি দেরিতে পাওয়ায় অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই ১ জানুয়ারির আগে মাঠ পর্যায়ে পৌঁছাবে সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা মনে করছি যে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ বই পৌঁছাবে। বাকি বইগুলো নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাবে না। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সকল বই পৌঁছে যাবে।'
দেরীতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছালে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হবার শঙ্কা প্রকাশ করছেন শিক্ষাবিদরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মো. মজিবুর রহমান বলেন, 'দেরিতে বই দেয়ার কারণে বই উৎসবে বাচ্চাদের মন খারাপ হবে। বই আগে পেলে শিক্ষকদের প্রস্তুতিটাও ভাল হয়। কারণ তাদেরও প্রস্তুতির বিষয় আছে। বই পরে পেলে বাচ্চারা পিছিয়ে যাবে।'
এনসিটিবি বলছে, বাকি বই মাঠ পর্যায়ে পৌঁছাতে সময় লাগবে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত।
এনসিটিবি'র চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, 'পাঠ্যপুস্তকের সমস্যা হচ্ছে শুধুমাত্র অষ্টম ও নবম শ্রেণির। ১ জানুয়ারীতে তারা অন্তত ৫ থেকে ৬টি বই পাবে। বাকি বইগুলোর জন্য ১০ দিন অপেক্ষা করতে হবে।'
গত বছর প্রাথমিকের অধিকাংশ বই ছাড়াই বই উৎসব করা হলেও এবার প্রায় শতভাগ বই ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে মাঠ পর্যায়ে।
এদিকে ১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে সারা দেশে বই উৎসবের অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা নিজ কার্যালয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করবেন।
এবার বছরের প্রথম দিন কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিকের বই উৎসব রাজধানীর মিরপুরে ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। তবে মাধ্যমিকের কেন্দ্রীয়ভাবে বই উৎসবের অনুমতি দেয়নি কমিশন।