কুড়িগ্রামে মিলেছে গ্রামোফোনের সোনালী স্মৃতির খোঁজ

0

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তিস্তাপাড়ের গুনাইগাছ ইউনিয়নের কেবলকৃষ্ণ গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন।

তার পিতা প্রয়াত দেলোয়ার হোসেন জুম্মাহাট বাজারে গড়ে তুলেছিলেন জনতা মাইক সার্ভিস নামের দোকান। সেখানে অপারেটর হিসেবে কাজ করতে করতে গ্রামোফোন ও রেকর্ডের উপর আসক্তি জন্মে আমজাদ হোসেনের।

তারপর থেকে নিজের টাকায় কিনে সংগ্রহ করতে থাকেন গ্রামোফোন রেকর্ড। সময়ের বিবর্তনে এর ধরণ-ধারণ পাল্টেছে এখন। তবুও শখকে ধরে রেখেছেন। এখনও সংগ্রহ করেন গ্রামোফোন রেকর্ড।

|undefined

কুড়িগ্রামে নতুন প্রজন্মকে গ্রামোফোন সম্পর্কে জানান দিচ্ছেন আমজাদ হোসেন।

বর্তমানে তার সংগ্রহে আছে ৮টি গ্রামোফোন ও ৫০টি মাটির তৈরি রেকর্ডসহ প্লাস্টিকের ১০ হাজার রেকর্ড। আছে রেডিও, ক্যাসেটসহ ভিসিআর এবং টেপ রেকর্ডারও।

তিনি বলেন, 'বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাইক বাজানোটা একসময় নেশায় পরিনত হয়। রের্কড-গ্রামোফোন কিনা অভ্যাস হয়ে যায়। এগুলো কতটুকু মূল্যবান তা আমি জানি। তাই সন্তানদেরকে বলে যাব যেন নষ্ট না করে।'

বর্তমানে তিন প্রজন্মের মধ্যে দুই প্রজন্মই কলের গান শোনেনি। এমনকি অনেকে দেখেওনি। তারা আমজাদ হোসেনের বাড়িতে কলের গান দেখে-গান শুনে উৎফুল্ল ও চমৎকৃত হচ্ছেন।

স্থানীরা বলেন, 'কলের গান ছোটবেলায় শুনেছি। আব্দুল আলিম-আব্বাস উদ্দিনের গান খুব ভালো লাগতো।'

বাঙালির আদি সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে এই সংগ্রহ নিঃসন্দেহে প্রসংশনীয় বলছেন জাদুঘর বিশেষজ্ঞরা। বলছেন বিশাল এই সংগ্রহ সংরক্ষণের কথাও।

|undefined

আমজাদ হোসেনের সংগ্রহশালা

কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা এস এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, 'কোন প্রতিষ্ঠান যদি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাহলে এগুলো টিকে যাবে। নয়তো এই সংগ্রহগুলো নষ্ট হয়ে যাবে।'

সংগ্রাহক আমজাদ হোসেনের বয়স এখন ৬২ বছর। অবসর জীবনে শখের জিনিসপত্র নিয়েই কাটে সময়।

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর
No Article Found!