নওগাঁ পৌরসভা প্রথম শ্রেণির হলেও পৌরবাসীর বিশুদ্ধ পানির অভাব দীর্ঘদিনের। সংকট সমাধানে ২০১৭ সালে শহরের বয়েজ হোম পাড়ায় ৭ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে শুরু হয় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের নির্মাণ কাজ। ২০২১ সালের মে মাসে কাজ শেষ করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর।
পরের বছর এপ্রিলে পৌর কর্তৃপক্ষকে প্রকল্পটি হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু দেড় বছরেও পৌরবাসীকে সুপেয় পানি সরবরাহ শুরু করা যায়নি। দ্রুত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি চালু করার দাবি শহরবাসীর।
তারা বলেন, 'পানি খাওয়ার অযোগ্য তাই আমরা বাইরে থেকে কিনে খাচ্ছি। এক বোতল পানির দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা। বেশ কয়েক বছর যাবত অহেতুক ফেলে রাখা হয়েছে। এভাবে পড়ে থাকলে আমাদের ক্ষতি।'
এদিকে, নির্মাণের দেড় বছর পরও চালু না হওয়ায় শ্যাওলা আর মরিচায় নষ্ট হচ্ছে এ প্ল্যান্টটির অধিকাংশ যন্ত্রাংশ। এছাড়া ঢাকনা ও রেগুলেটরসহ খোয়া যাচ্ছে অনেক যন্ত্রাংশ।
স্থানীয়রা আরও বলেন, 'দীর্ঘসময় ধরে পড়ে থাকায় ব্যয়বহুল যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। সরকার কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে মানুষের উপকারের জন্য। কিন্তু তা হচ্ছে না।'
পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিদ্যমান পানির লাইন পুরাতন হওয়ায় সুপেয় পানি সরবরাহ সম্ভব না। তাই প্রকল্পটি চালু করা যাচ্ছে না। নতুন পাইপ লাইন স্থাপনে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
নওগাঁ পৌরসভার কাউন্সিলর সারোয়ার তানজিদ বলেন, 'পুরাতন পাইপ লাইনে সাপ্লাই স্থাপন করলে মানুষ শতভাগ বিশুদ্ধ পানি পাবে না।'
মেয়র মো. নাজমুল হক সনি এখন টিভিকে বলেন, 'আমরা তদবির করছি নতুন পাইপের জন্য। তা সরবরাহ করলেই বিশুদ্ধ পানি পাব।'
৯টি ওয়ার্ড নিয়ে ১৯৬৩ সালে শুরু হয় নওগাঁ পৌরসভার কার্যক্রম। ১৯৮৯ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয় এটি।