বাজার , ছাড়
দেশে এখন
0

বিজয় দিবসে সুপারশপ-রেস্টুরেন্টে ছাড়

জাতীয় পরিসরের বাইরেও ব্যক্তি থেকে সংগঠনের এলাকাভিত্তিক আয়োজনে রাজধানীতে বর্ণিল হয়ে ওঠেছে বিজয়ের উৎসব। এমন নানা আয়োজনে চোখে পড়ে ভিন্নতা। আর এর মাধ্যমেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ছে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের ইতিহাস।

খুব ভোরে হাতে পতাকা উঁচিয়ে মায়ের হাত ধরে বিজয় দিবস উদযাপনে এসেছে ছোট্ট অর্ক। তার চোখে মুখে তাই আনন্দ আভা। অর্ক জানায়, 'বিজয়ের দিন ছবি অঙ্কন ও পতাকা হাতে বিজয় উদযাপন করে।'

ক্ষুদে শিল্পী মনিমা এসেছে দেয়ালে রাখা চিত্রকর্ম দেখতে। অংশ নিয়েছেন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায়। মনিমা বলে, 'বাসার বারান্দা পতাকা দিয়ে সাজানোর পর গান গাই, ছবি তুলি।'

প্রতি বছরই বিজয় দিবস উদযাপনে নানা আয়োজন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। চেষ্টা থাকে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার।

শিক্ষকরা বলেন, 'আমরা চেষ্টা করি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বাচ্চাদের সামনে তুলে ধরতে। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ সম্বন্ধে ধারণা দেওয়া উচিত।'

প্রতিবছর বিজয় উদযাপনে আসে ভিন্নতা। সকালে টিএসসিতে দেখা মিললো এক দল তরুণ তরুণীর, তাদের এবারের বিজয় দিবসের উদযাপনটা শুরু মেট্রোরেল ভ্রমণে। আবার কেউ বা বের হয়েছেন সাইকেল রাইডে।

বিজয় উদযাপনে পিছিয়ে নেই ফ্যাশন হাউজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুপার শপ, রেস্টুরেন্ট। বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্রেতাদের টানতে তাই দেয়া হয়েছে নানা ধরণের ছাড়।

বিক্রেতারা বলেন, বন্ধের দিন হওয়ায় সবাই কেনাকাটা করতে আসে। সবুজ পাঞ্জাবী আর লাল রঙের থ্রী পিসের চাহিদা বেশি থাকে। তাই কিছুটা ছাড় দেওয়া।

বিজয় সুখের উপলক্ষ্য নিয়ে আসে মৌসুমী বিক্রেতাদেরও। লাল সবুজের এই দিনটি কেবল তাদের আয়ের উৎস নয়, এমন বিক্রি বাট্টায় পান দেশপ্রেমের অনুভূতি।