বাজার ভালো থাকায় সবজি চাষে দুই থেকে তিনগুণ লাভ পাচ্ছেন কৃষকরা। এবার জেলায় প্রায় দেড়শো কোটি টাকার আগাম শাক-সবজি বিক্রির কথা বলছে কৃষি বিভাগ।
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার কৃষক দেলোয়ার হোসেন। সনাতন পদ্ধতির কৃষি কমিয়ে এবার ৩৬ বিঘা জমি লিজ নিয়ে আবাদ করেছেন আগাম জাতের করলা। ফলনও হয়েছে ভালো। সব মিলিয়ে ১০ লাখ টাকা খরচ হলেও এরই মধ্যে বিক্রি করেছেন ১৫ লাখ টাকার করলা। এই বাগান থেকে আরও ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার করলা বিক্রির আশা তার।
কৃষি উদ্যোক্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগে ধান, গম, ভুট্টা চাষ করেছি তাতে তেমন লাভ হয়না। বর্তমানে আগাম জাতের সবজি চাষ করছি, এতে লাভ বেশি।’
শুধু দেলোয়ার নয় আগাম জাতের সবজি উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন জেলার অন্তত ৫ হাজার কৃষক। যারা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করেন আগাম জাতের শিম, করলা, লাউ, বেগুন, মুলা, চিচিঙ্গা, শসাসহ নানা ধরনের শাক সবজি।
কৃষকরা জানান, ‘আগাম শাক-সবজি চাষা করতে হয় হিসেব করে। কখন দাম ভালো পাওয়া যাবে এই বিষয়ের সঙ্গে থাকতে হবে আবহাওয়ার ধারণা।’
কৃষি বিভাগের হিসেবে জেলায় এবার ২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আগাম শাক-সবজি আবাদ হয়েছে। যেখান থেকে অন্তত দেড়শো কোটি টাকার লেনদেনের আশা তাদের।
পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘আগাম সবজির ফলন খুবই ভালো হচ্ছে এবং কৃষকরা দামও ভালো পাচ্ছেন।’
ভাদ্রের শুরুতে উঁচু জমিতে আগাম শাক-সবজি রোপনে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন উত্তরের কৃষকরা। দেড় থেকে দুই মাস পর যা বাজারে আসতে শুরু করে। সনাতন চাষাবাদের চেয়ে লাভ বেশি পাওয়ায় হাসি ফোটে কৃষকের মুখে।
