চট্টগ্রামের নবনির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নকশা তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে । ইতিমধ্যে পুরো অবকাঠামো তৈরির কাজও শেষ। তবে এই মূহূর্তে এর নকশা নিয়ে আপত্তি থাকায় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন না করার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চট্টগ্রামের সংস্কৃতি কর্মী ও বিশিষ্টজনরা।
তাদের দাবি নতুন করে শহীদ মিনার নির্মাণের। কারণ নকশায় ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ বা দেশিয় কোন ঐতিহ্য ফুটে উঠেনি। সংস্কার ও নতুনভাবে নির্মাণের নামে শহীদ মিনারটিকে একটি কর্পোরেট স্থাপনায় পরিণত করা হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। সংকুচিত হয়েছে ওঠানামার পথও।
সংস্কৃতিকর্মীরা জানান, এই জায়গাটা দেখলে মনে হয় একটা বিনোদনের স্থান। শহীদ মিনারের যে বিশালতা, আবেগ-অনুভূতি দেখানোর কোন উপায় এর নকশায় নেই।
তাদের অভিযোগ, আগের মতো সড়ক থেকে শহীদ মিনার দেখা যাচ্ছে না। তাতে হারিয়েছে শহীদ মিনারের তাৎপর্যের বিশালত্ব ও পরিধি। নকশাবিদ ও বাস্তবায়নকারীদের তদরাকি এবং সৃজনশীলতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান এখন টেলিভিশনকে বলেন, ‘আমরা সবাই একমত হয়েছি যে এখানে একটা দৃশ্যমান শহীদ মিনার হতে হবে। যেখানে সকল মানুষ সহজেই শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবে।’
এমন পরিস্থিতিতে সংস্কৃতিকর্মী ও বিশিষ্টজনদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন সিটি কর্পোরেশন মেয়র। বৈঠকে দাবি উঠে অবকাঠামো ভেঙ্গে শহীদ মিনার দৃশ্যমান করার।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘সর্বসম্মতিক্রমে আমাদের সিদ্ধান্ত আপাতত এখানে কোন আনুষ্ঠানিকতা বা শ্রদ্ধা জানানো হবে না। শহীদ মিনার নতুন করে করতে হবে।’
অন্যদিকে মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি জানানোর কথা বলেন চট্টগ্রাম গণপূর্তের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বদরুল আলম খান।
২৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট হল ভেঙে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আর নকশা প্রণয়নসহ পুরো প্রকল্পটির দায়িত্বে ছিলো গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।





