গাজায় ইসরাইলের সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে লেবানন ইসরাইল সীমান্তেও বেড়েছে উত্তেজনা। ইসরাইলে একদিকে হামলা চালাচ্ছে ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ, অন্যদিকে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হামলা আতঙ্কে উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মানুষ সরিয়ে নিচ্ছে তেল আবিব। হিজবুল্লাহ'র বিভিন্ন স্থাপনায় ইসরাইল যেমন হামলা চালাচ্ছে, সশস্ত্র গোষ্ঠীও চালাচ্ছে পাল্টা হামলা।
বেপরোয়া এই আচরণে চটে গিয়ে হিজবুল্লাহকে হুমকি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, যুদ্ধে জড়ানোর মতো ভুল করলে থমকে যাবে লেবাননের ভবিষ্যৎ। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, হিজবুল্লাহ লেবাননকে যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলছে। যেটার মূল্য সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে দিতে হবে। যদি ইসরাইলের উত্তর সীমান্তে হিজবুল্লাহ হামলা করতেই থাকে, তবে বৈরুতের মানুষের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে হবে।
ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলছে, যুদ্ধবিমান দিয়ে লেবাননে হিজবুল্লাহর অনেক সামরিক স্থাপনাতে হামলা চালিয়ে সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করেছে তারা। তেল আবিব বলছে, শনিবার ইসরাইলের সীমান্তে রকেট নিক্ষেপ করে হিজবুল্লাহ, এরপর হামলা চালায় ইসরাইল। যদিও এসব হুমকিতে টনক নড়ছে না হিজবুল্লাহ'র। উল্টো নতুন কৌশলে, নতুন অস্ত্র নিয়ে ইসরাইলে হামলার কথা জানিয়েছে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি। শনিবার হিজবুল্লাহ প্রধান হাসার নাসারাল্লাহ জানান, প্রথমবারের মতো হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে ড্রোন আর বুরকান ক্ষেপণাস্ত্র। ক্ষেপণাস্ত্রটিতে ৩শ' থেকে ৫শ' কেজি বিস্ফোরক আছে।
ইসরাইলের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে হাসার নাসারাল্লাহ জানান, ইসরাইলে নতুন কৌশলে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে হিজবুল্লাহ। পাল্টা হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে পুরোদমে যুদ্ধ করতে হবে ইসরাইলকে। শুক্রবারও ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে আত্নঘাতী ড্রোন হামলা করে হিজবুল্লাহ।