নগর কৃষি
কৃষি
0

তিন পার্বত্যাঞ্চলে কমলার বাণিজ্যিক চাষাবাদ বাড়ছে

মাটি আর আবহাওয়ার বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে তিন পার্বত্য জেলা কমলা চাষে বেশ উপযোগী। রং, ঘ্রাণ আর সুস্বাদু হওয়ায় এসব ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। স্বল্প সময়ে চাষ, দীর্ঘমেয়াদি আয়ের উৎস ও ভালো লাভের কারণে পাহাড়ের পতিত জমিতে বাড়ছে কমলার বাণিজ্যিক চাষাবাদ। আমদানি নির্ভরতা কমাতে পার্বত্যাঞ্চলে কমলার চাষাবাদ ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

ইউটিউবে কমলার বাগানের ভিডিও দেখে কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ হন রাঙামাটির নানিয়ারচরের সুদত্ত চাকমা। চারবছর আগে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের পাশে তৈচাকমা দোসর পাড়ায় পরিত্যক্ত জমিতে গড়ে তোলেন কমলার বাগান।

ভালো ফলন ও লাভ বেশি হওয়ায় বছর বছর বাড়িয়েছেন বাগানের পরিসর। দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থী আর ক্রেতারা আসেন এ বাগানে।

কৃষি বিভাগের সম্প্রতি জরিপে দেখা যায়, তিন বছরে তিন পার্বত্য জেলায় দার্জিলিং ও চায়না জাতের প্রায় ৪৯ হাজার ৩৬০ মেট্রিক টন কমলা উৎপাদন হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ১ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা। এরমধ্যে গেল বছর সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় রাঙামাটিতে ৮ হাজার ৫শ টন। যার বাজার মূল্য ২১২ কোটি টাকা।

পার্বত্য জেলায় দার্জিলিং ও চায়না ছাড়াও বিভিন্ন জাতের কমলার চাষ করা হয়। দাম ভালো হওয়ায় ক্রমেই কমলা চাষের প্রতি বাড়ছে আগ্রহ। এ অর্থকরী ফসলটির চাষাবাদ পার্বত্যাঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.মনিরুজ্জামান বলেন, ‘৬০০ হেক্টর জায়গায় কমলার বাগান আছে। চলতি বছর কমলার ভালো উৎপাদন হবে আশা করছি। আমাদের কমলার বড় সাইজের কারণে ভালো বাজার মূল্য পাওয়া যাবে। আমরা প্রত্যাশা করছি ৬০০ হেক্টর জমি থেকে প্রায় ৮ হাজার ৫শ মেট্রিক টন কমলা পাব আমরা।’

তিন পার্বত্য জেলায় চলতি বছর ১৭ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন কমলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৪৪০ কোটি টাকা।

এএম