নগর কৃষি
কৃষি
0

বগুড়ায় ফসলি জমি বাড়লেও বীজ, সার ও কীটনাশকের খরচে বিপাকে কৃষক

হেমন্তে বগুড়ার যমুনা নদীতে জেগেছে চর। এতে নতুন ফসলি জমি বাড়লেও বীজ, সার ও কীটনাশকের খরচে বিপাকে কৃষকরা। এছাড়া পতিত রয়েছে বেশকিছু জমি। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে চরগুলোকে আবাদের আওতায় আনার আহ্বান চরাঞ্চলের চাষিদের।

বর্ষায় এখানে যমুনার অথৈ জল, পরবর্তী মৌসুমে ধু-ধু বালু চর। আর সেই চরে কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমে এখন সবুজ শ্যামল ফসলি মাঠ। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার এই চরের প্রায় সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে চলছে চাষাবাদের ভরা মৌসুম।

যমুনার চরে এক সময় শুধু গম, কাউন আর মাসকালাই চাষ করে খাদ্যের চাহিদা মেটাতেন এখানকার কৃষকরা। এখন আবাদ হচ্ছে ধান, ভুট্টা, মরিচ, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি। উপযুক্ত আবহাওয়া, উন্নতজাত আর উর্বর পলি মাটিতে চাষাবাদে ভাগ্য খুলছে কৃষকের।

নদী ভাঙা-গড়ার খেলায় এ বছর ফসলি জমির পরিমাণ বেড়েছে ৭০ হেক্টর। এবার ৮ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা, ৩ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে মরিচ ও ২ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে গান্জিয়া ধান। তবে এসব ফসল চাষে ব্যবহার করা সার, কীটনাশক আর বীজের লাগাম ছাড়া দামে বিপাকে কৃষক।

কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি মৌসুমে ব্যাপক ফলন আসবে প্রতিটি ফসলেই। সেই সাথে অনাবাদি বালুচরে বিভিন্ন ফসল ফলিয়ে কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও আসবে বলে আশাবাদী কৃষি কর্মকর্তারা।

বগুড়া সারিয়াকান্দির উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘বর্তমান আবহাওয়া, কৃষক এবং মাঠ কর্মীদের সকলের প্রচেষ্টায় আশা করা যাচ্ছে ফসল চাষ করে চাষীরা লাভবান হবে। ’


এএম